সেরা: টেবল টেনিসে জাতীয় মুকুট সুতীর্থার মাথায়। ফাইল চিত্র
সন্ধ্যায় যখন তাঁকে ফোন করা হল, তখন বাবা-মা-র সঙ্গে রাঁচী থেকে কলকাতায় ফেরার ট্রেন ধরার পথে। একটু অপেক্ষার পরে যখন ফোনটা ধরলেন, সদ্য জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার উচ্ছ্বাসে ভাসছেন। তিনি— সুতীর্থা মুখোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার রাঁচীতে জাতীয় টেবল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে সুতীর্থা হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ৪-৩ হারান মণিকা বাত্রাকে। ফল ১১-৪, ১১-১৩, ১১-৬, ৫-১১, ১১-২, ৯-১১, ১২-১০। জাতীয় জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রায় ছ’বছর পরে প্রথম সিনিয়র জাতীয় খেতাব জিতে সুতীর্থা বলেন, ‘‘বোঝাতে পারব না কতটা আনন্দ হচ্ছে। ভাবতেই পারছি না আমি সিনিয়র জাতীয় চ্যাম্পিয়ন এখন। জুনিয়র, সাব জুনিয়র বিভাগে এর আগে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। কিন্তু সিনিয়র চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারই আলাদা।’’
শুধু তাই নয়, যে ভাবে ফাইনালে প্রচুর লড়ে শেষ পর্যন্ত খেতাব পেয়েছেন, সেটাও দারুণ লেগেছে সুতীর্থার। ‘‘ফাইনালটা দারুণ হল। আমরা দু’জন কেউই কারও চেয়ে কম যাচ্ছিলাম না। তবে, প্রথমে আমি এগিয়ে যাওয়ার পরে মণিকা ম্যাচে ফিরে এসেছিল। আমি তখন অন্য স্ট্র্যাটেজি নিই। সেটাই কাজে আসল।’’
কী সেই স্ট্র্যাটেজি?
আরও পড়ুন: হায়দরাবাদের থিম সংয়ে নাচ ওয়ার্নার কন্যার
তাড়াহুড়ো না করে প্রতিদ্বন্দ্বীকে খেলতে দেওয়া, ক্লান্ত করে তোলা এবং ভুল করতে বাধ্য করা। তাতেই কামাল ২২ বছর বয়সি টেবল টেনিস খেলোয়াড়ের। যিনি পৌলমী ঘটক এবং মৌমা দাসের পরে বাংলার প্রথম মহিলা জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। মৌমা শেষ বার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ২০১৫-তে। তিন বছর পরে ফের বাংলার মেয়ের মাথায় উঠল জাতীয় সেরার মুকুট। গত বছর জাতীয় টিটিতে দলগত ভাবে তিনি বাংলাকে ২০ বছর পরে সোনা এনে দেওয়ার পিছনেও অন্যতম বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। তা ছা়ড়া গত বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেও ডাবলসে ব্রোঞ্জ জিতেছেন। মাস দুয়েক পরেই কমনওয়েলথ গেমস। ভারতীয় দলে থাকতে পারেন সুতীর্থা। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের এই খেতাব কমনওয়েলথের আগে তাঁকে আরও আত্মবিশ্বাসী করবে বলে মনে করেন সুতীর্থার কোচ সৌম্যদীপ রায়।
পুরুষদের সিঙ্গলসে আবার অষ্টম বার চ্যাম্পিয়ন হয়ে কমলেশ মেটার রেকর্ড ছুঁলেন দেশের অভিজ্ঞ টিটি তারকা শরথ কমল।