আজ দুই স্পিনারে নামছে বাংলা

বুধবার কটক থেকে ফোনে মনোজ বলেন, ‘‘পিচে হাল্কা ঘাস রয়েছে। তবুও দুই স্পিনার খেলিয়ে দেখতে চাই। কারণ, আমাদের আগে সেই পিচেই ওড়িশা ও ছত্তীসগঢ়ের ম্যাচ রয়েছে। আশা করা যায়, এক ম্যাচের পরে পিচে স্পিনারেরা সাহায্য পেতে শুরু করবে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:১১
Share:

সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে মিজ়োরামের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করছে বাংলা। বৃহস্পতিবার কটকে একেবারে নতুন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দুই স্পিনার নিয়ে নামতে চলেছে মনোজ তিওয়ারির দল। শুক্রবারই কর্নাটকের বিরুদ্ধে ম্যাচ বাংলার। তার আগের দিন মিজ়োরামের বিরুদ্ধে দলের বোঝাপড়া দেখে নিতে চান অধিনায়ক মনোজ।

Advertisement

বুধবার কটক থেকে ফোনে মনোজ বলেন, ‘‘পিচে হাল্কা ঘাস রয়েছে। তবুও দুই স্পিনার খেলিয়ে দেখতে চাই। কারণ, আমাদের আগে সেই পিচেই ওড়িশা ও ছত্তীসগঢ়ের ম্যাচ রয়েছে। আশা করা যায়, এক ম্যাচের পরে পিচে স্পিনারেরা সাহায্য পেতে শুরু করবে।’’

বাঁ হাতি স্পিনার প্রদীপ্ত প্রামাণিকের পাশাপাশি খেলানো হবে প্রয়াস রায়বর্মণকে। পেস বিভাগে অশোক ডিন্ডার সঙ্গে রয়েছেন সায়ন ঘোষ অথবা ঈশান পোড়েল। অলরাউন্ডারের ভূমিকায় দেখা যাবে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের অধিনায়ক ঋত্বিক রায়চৌধুরীকে। মিডিয়াম পেস বোলিংয়ের সঙ্গে সাবলীল ব্যাট করেন ঋত্বিক। তাই অধিনায়ক তাঁকে ইনিংসের শেষের দিকে ব্যবহার করতে চান। মনোজের কথায়, ‘‘ব্যাটিং অর্ডারে বিবেক, শ্রীর পরে যাবে ঈশ্বরন। চার ও পাঁচ নম্বরে আমি ও ঋদ্ধি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নামব। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী দেখতে হবে কে নামে। তার পরে আসবে ঋত্বিক। ওর হাতে ভাল শট রয়েছে। তাই শেষের দিকে রাখতে চাই।’’

Advertisement

এ বারের বাংলা দল থেকে তিনজন আইপিএলে খেলছেন। ঋদ্ধিমান সাহা, শ্রীবৎস গোস্বামী তো রয়েছেনই। সেই সঙ্গে এ বারের নিলামে দেড় কোটি টাকায় প্রয়াসকে নিয়েছে আরসিবি। ১৬ বছর বয়সি এই লেগস্পিনারের কাছে নিজেকে প্রমাণ করার লড়াই এই প্রতিযোগিতা। প্রয়াস বলছিল, ‘‘জাতীয় টি-টোয়েন্টিতে আমার অভিষেক হতে চলেছে। আরও এক বার বাংলার হয়ে খেলার সুযোগ পাচ্ছি। এটাই আমার কাছে অনেক বড় পাওনা। চেষ্টা করব নিজের সেরাটা দেওয়ার।’’ সঙ্গে যোগ করে, ‘‘আইপিএল-এর আগে নিজেকে প্রমাণ করার এটাই বড় সুযোগ। সেটা কোনও ভাবে হাতছাড়া করতে চাই না। এত দিন অনুশীলনে যা করেছি। ম্যাচেও সেটাই করে যেতে চাই।’’

বাংলার কোচ হওয়ার পরে এটাই প্রথম পরীক্ষা অরুণ লালের। তিনি জানিয়েছেন, যে কোনও প্রতিযোগিতা জিততে গেলে সব চেয়ে জরুরি নিজেদের প্রতি আস্থা। যা রঞ্জি ট্রফি চলাকালীন বাংলা দলের মধ্যে তিনি লক্ষ্য করতে পারেননি। কিন্তু জাতীয় টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি শিবির থেকেই দলের মধ্যে জেতার মানসিকতা দেখতে পেয়েছেন। অরুণ বললেন, ‘‘নিজেদের উপর থেকে আস্থা হারালে চলবে না। রঞ্জিতে এটাই আমাদের মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু এই প্রতিযোগিতায় দল যথেষ্ট শক্তিশালী। ট্রফি না নিয়ে ফিরে আসা উচিত নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন