নজরে: ফাইনালের আগে চুক্তিতে চমক গুরপ্রীতের।
আই লিগের মতো প্রথম বার আইএসএল-এ খেলতে নেমেই খেতাব জিতে ইতিহাস তৈরির সুযোগ বেঙ্গালুরু এফ সি-র সামনে। শনিবার ফাইনালে জেজে লালপেখেলুয়ার চেন্নাইয়িন এফ সি-কে হারাতে পারলেই ভারতীয় ক্লাব ফুটবলে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটিয়ে ফেলবেন সুনীল ছেত্রীরা। ক্লাবের জন্মের চার বছরে মধ্যেই দেশের সব ট্রফি জিতে ফেলবে বেঙ্গালুরু।
ঠিক তার আগে আরও একটি মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেলল বেঙ্গালুরু। দেশের এক নম্বর গোলকিপার গুরপ্রীত সিংহ সাধুঁর সঙ্গে সামনের পাঁচ বছরের চুক্তি করে নিল আলাবার্তো রোকার দল। ২০২৩ সাল পর্যন্ত ‘দ্য ব্লুজ’-এর জার্সি পরার চুক্তিতে সই করে দিলেন গুরপ্রীত। সর্বোচ্চ স্তরের কোনও ক্লাব দেশের এক নম্বর ফুটবলারের সঙ্গে টানা পাঁচ বছরের চুক্তি করেছে ভারতীয় ফুটবলে এ রকম ঘটনা কখনও ঘটেনি। চুক্তি করার পর তাই আবেগাপ্লুত পঞ্জাব তনয় বলে দিলেন, ‘‘নরওয়ে থেকে খেলে ফেরার পর প্রথম বেঙ্গালুরুতে সই করেছিলাম। এই ক্লাব-ই আমার প্রথম পছন্দ ছিল। এখানে খেলে এশীয় স্তরের ম্যাচ খেলতে পারছি। আই এস এলে ফাইনালে উঠেছি। নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ক্লাব আমার উপর আস্থা রেখেছে। আমি এই ক্লাবের অঙ্গ হয়ে থাকতে চাই বলেই পাঁচ বছরের চুক্তিতে সই করেছি।’’
সুব্রত পালকে পিছনে ঠেলে দিয়ে ইতিমধ্যেই জাতীয় দলের এক নম্বর গোলকিপারের জায়গা নিয়েছেন গুরপ্রীত। ইউরোপ থেকে ভারতে ফেরার পর টানা আঠারোটি ম্যাচ খেলছেন বেঙ্গালুরুর জার্সিতে। যা আগে কখনও তিনি কোনও ক্লাবের হয়ে খেলেননি। শুধু তাই নয় গোল না খাওয়ায় বিচারে আইএসএলের সেরা এখন তিনি। ২০ ম্যাচে মাত্র সতেরো গোল খেয়েছেন গুরপ্রীত। সাতটি ম্যাচে গোল খাননি। জামসেদপুর এফ সি-র বিরুদ্ধে তাঁর দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্সের জন্যই বেঁচে গিয়েছে আলবার্তো রোকার দল। টুর্নামেন্টের সোনার গ্লাভসের দাবিদারও হয়ে উঠেছেন তিনি। জামসেদপুরের গোলকিপার সুব্রত পাল, চেন্নায়াইন এফ সি-র করণজিৎ সিংহ বা মুম্বই এফ সি-র অমরজিৎ সিংহরা ভাল খেললেও সবথেকে ঝকমক করেছেন গুরপ্রীত-ই। কিন্তু মজার ব্যাপার হল, এত সাফল্য সত্ত্বেও কোনও লিগ খেতাবের শরিক হতে পারেননি।