Sports News

জীবনের সেরা জয় বলছেন বিরাট

হেরে পিছিয়ে পরা। আবার ঘুরে দাঁড়ানো। ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে শুরু থেকেই টানটান উত্তেজনা চলছিলই। সঙ্গে স্লেজিং পাল্টা স্লেজিংও। অস্ট্রেলিয়া ভারতের মাটিতে পার রাখার আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল বাকযুদ্ধ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৭ ২৩:১৪
Share:

হেরে পিছিয়ে পরা। আবার ঘুরে দাঁড়ানো। ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে শুরু থেকেই টানটান উত্তেজনা চলছিলই। সঙ্গে স্লেজিং পাল্টা স্লেজিংও। অস্ট্রেলিয়া ভারতের মাটিতে পার রাখার আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল বাকযুদ্ধ। সেটা চলল দ্বিতীয় টেস্টের শেষ দিন পর্যন্ত। বিরক্ত কোহালি মুখ খুললেন এক্কেবারে সাংবাদিক সম্মেলনে।

Advertisement

জয় নিয়ে

এখনও পর্যন্ত এটাই সেরা জয়। এর থেকে বেশি কিছু আর বলার নেই। কারণ আমাদের খেলাই বলে দিচ্ছে ম্যাচের কথা। এই ম্যাচ আমাদের জন্য আবেগের ছিল। সকলে একসঙ্গে লড়াই করেছিলাম। আমরা মাঠে টিম স্পিরিট দেখাতে পেরেছি।

Advertisement

বোলারদের নিয়ে

দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে আমরা মাত্র ৪৫ রান খারাপ বোলিংয়ের জন্য দিয়েছি। দুটো উইকেট পেয়েছি। যেখান থেকে ওরা ম্যাট ছিনিয়ে নিতে পারত। সেই সময়ই অবস্থার পরিবর্তনটা দরকার ছিল। পুরো দিনে আমরা ২০০ রানের বেশি দিতে পারিনি। ছ’উইকেট নিয়েছিলাম। এটা দরকার ছিল। কোনও একজনকে এগিয়ে এসে এই কাজটি করার। জাডেজা অসাধারণ সামলেছিল।

স্টিভ স্মিথের বিষয়ে

আমি আগেও দু’বার একই ঘটনা ঘটতে দেখেছিলাম। ওরা ডিআরএস-এর আগে ড্রেসিংরুমের দিকে তাকাচ্ছিল। আমি আম্পায়ারকেও বলেছিলাম। এ বার সকলেই লক্ষ্য রেখেছিলাম। আম্পায়ারও দেখেন। আমি ম্যাচ রেফারিকেও জানিয়েছিলাম। আমি এরকম কখনওই করব না খেলার মাঠে।

এটা কী প্রতারণা ছিল

আমি এটা বলিনি।

পুণেতে হারের পর চাপ

আমি চাপ নিয়ে ভাবি না। যে কেউ চায় তাঁর দল জিতুক। অন্যদের দিকে না তাকিয়ে নিজের কাজটা করে যাওয়ায় আমি বিশ্বাসী। একটা সুযোগ আসবে আর সেটাই কাজে লাগাতে হবে। আর সেটাই হয়েছে।

আরও খবর: ভারতের সফলতম টেস্ট বোলারের তালিকায় অশ্বিন পাঁচে

গত দু’বছরে এটি সেরা পার্টনারশিপগুলোর মধ্যে একটি। অসাধারণ ইনিংস। হয়তো এটাই সেরা ইনিংস। হারিয়ে যাওয়া অবস্থান ফিরে পাওয়া। আর ওরা প্রমাণ করে দিয়েছে ওরা কেন ভারতের সেরা টেস্ট ব্যাটসম্যান।

রাঁচি টেস্ট নিয়ে

রাঁচির পিচ নিয়ে বিশেষ কিছু ভাবনা-চিন্তার নেই। সকলেই জানে কেমন পিচ সেখানে। সব সময়ই স্লো আর লো। মানসিকভাবে তুমি কতটা তৈরি সেটাই আসল। পুণের ক্ষত এই ম্যাচ জিতেই মিটবে। স্পিনাররাও তাঁদের ছন্দ ফিরে পেয়েছে।

লোকেশ রাহুল প্রসঙ্গে

আমার মতে শেষ তিনটি ইনিংস ওর জীবনের সেরা। আমি ওকে বলেছি তুমি এটা ভেবে আনন্দ পাও যে তুমি সেঞ্চুরি করতে পারনি কিন্তু যে রান করেছ সেটা দলের কাজে লেগেছে। এটা সব ব্যাটসম্যানের ক্ষেত্রেই ঘটে।

চার বোলারে খেলা

বেঙ্গালুরু পিচের চরিত্রই বুঝিয়ে দিচ্ছিল চার বোলারই যথেষ্ট। কারণ প্রথম ইনিংসে লিয়ঁ আট উইকেট নিল আমাদের জাডেজা ছয়। দ্বিতীয় ইনিংসেয় হ্যাজেলউড ছয় উইকেট নিলেন আমাদের অশ্বিন। পঞ্চম বোলারকে বসে থাকতে হত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন