হাবাসের ফুটবল স্টাইল পুণের মাঠে ঠিক খাপ খাচ্ছে না

আইএসএল থ্রি-র প্রথম লেগের ম্যাচগুলো প্রায় শেষের পথে। আর টিমগুলোও এর মধ্যে নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে। এমনিতেই এই টুর্নামেন্টে প্রতিটা টিমের একে অপরের সঙ্গে ফারাক উনিশ-বিশ। কথাটা আমি শুরুর দিন থেকেই বলে আসছি। কোনও টপ ফেভারিট টিমও নেই।

Advertisement

ভাইচুং ভুটিয়া

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৬ ০৪:১১
Share:

আইএসএল থ্রি-র প্রথম লেগের ম্যাচগুলো প্রায় শেষের পথে। আর টিমগুলোও এর মধ্যে নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে। এমনিতেই এই টুর্নামেন্টে প্রতিটা টিমের একে অপরের সঙ্গে ফারাক উনিশ-বিশ। কথাটা আমি শুরুর দিন থেকেই বলে আসছি। কোনও টপ ফেভারিট টিমও নেই।

Advertisement

আমি বিশ্বাস করি এটা একটা ওপেন লিগ, যেখানে প্রত্যেকটা টিমেরই ট্রফি জেতার সমান সম্ভাবনা রয়েছে। যে কোনও দিন যে কোনও টিম ম্যাচ জিতে যেতে পারে। লিগ টেবলের দিকে তাকালেই কথাটা পরিষ্কার হবে। কারণ প্রথম চারের টিমগুলোর মধ্যে পয়েন্টের ফারাক খুব বেশি নয়। প্রত্যেকটা টিমের ঘাড়েই কোনও না কোনও টিম নিঃশ্বাস ফেলছে। কোনও টিমই কিন্তু খুব বেশি ব্যবধান নিয়ে লিগ টেবলে নেই।

কে এ বার ট্রফি জিতবে তা নিয়ে আগাম কোনও পূর্বাভাস দেওয়া এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। এই মুহূর্তে সব টিমেরই লক্ষ্য একটাই। তা হল প্রথম চারে লিগ শেষ করে প্লে অফ সেমিফাইনালের টিকিট জোগাড় করে নেওয়া। তার পর সেখান থেকে ফাইনালের রাস্তা তৈরি করা। এ বারের টুর্নামেন্টে এটা খুব তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার, এফসি গোয়া এবং এফসি পুণে সিটি— দুই টিমেই রয়েছেন দু’জন পোড়খাওয়া কোচ— জিকো এবং হাবাস। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবেই এই দু’জনের টিমই লিগ টেবলে পিছনের দিকে রয়েছে।

Advertisement

স্মৃতি হাতড়ে যতটুকু মনে পড়ছে, তাতে প্রথম আইএসএলেও এ রকমই পরিস্থিতিতে ছিল গোয়া। প্রথম পর্ব যখন শেষ হয় তখন লিগ টেবলে এ বারের মতোই গোয়ার টিম তলার দিকে ছিল। কিন্তু পরপর কয়েকটা দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়ে ওরা শেষ পর্যন্ত প্রথম চারে জায়গা করে নিয়েছিল। এ বারও সে রকম কিছু ঘটলে অবাক হব না। কারণ একটাই —টিমটার কোচের নাম জিকো।

ঠিক সে রকমই প্রথম চারে জায়গা করে নিতে লড়ছে পুণে। আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের খেলানোর স্টাইল পুণের বালেওয়াড়ি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের সঙ্গে খাপ খাচ্ছে না। গত বছরও এটিকের কোচ থাকায় সময় উনি পুণেতে গিয়ে সে ভাবে সুবিধে করতে পারেননি। বিশেষ করে সেমিফাইনালে চেন্নাইয়ানের বিরুদ্ধে প্রথম লেগে।

লক্ষ্য করলে দেখা যাবে পুণে এ বারও কিন্তু ঘরের মাঠে এখনও পর্যন্ত জয় পায়নি। টিম স্পিরিট চনমনে রাখতে ওদের ঘরের মাঠে জয় পেতেই হবে। না হলে পরের দিকে সমস্যা হতে পারে। কারণ হোম ম্যাচে তিন পয়েন্ট না পেলে অ্যাওয়ে ম্যাচে মানসিক চাপ বাড়ে। তখন টিম অনেক সময় আটকেও যায়। কখনও বা হেরে বসে। যার প্রভাব পড়ে পয়েন্ট টেবলে।

শনিবার চেন্নাইয়ান এফসি এবং কেরল ব্লাস্টার্স ম্যাচটা বেশ উপভোগ্য হতে পারে। গোয়ার বিরুদ্ধে পিছিয়ে থেকেও দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে এনেছিল কেরল। তবে ওরা এই ম্যাচে মাইকেল চোপড়াকে পাবে না। যেটা ওদের সমস্যায় ফেলতে পারে।

চেন্নাইয়ানও শুরুটা ভাল না করলেও ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে। পুণের বিরুদ্ধে জেজে আগের ম্যাচে একটা গোল করেছে। এটা ওকে আত্মবিশ্বাস জোগাবে। গত মরসুমে ও বেশ কিছু গোল করায় চেন্নাইয়ানের জিততে অসুবিধে হয়নি। এ বার ও সেই ছন্দ শুরুর দিকে যে কোনও কারণেই হোক পায়নি। গোল পাওয়ায় এ বার সেই আত্মবিশ্বাসটা পাবে বলেই আমার অন্তত মনে হয়। স্ট্রাইকারদের ক্ষেত্রে তাই আত্মবিশ্বাসটা বেশ জরুরি। ম্যাচে সেটা ম্যাজিকের মতো কাজ করে। (টিসিএম)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন