মোরিনহোর ‘স্পেশ্যাল’ ছকে বাধা এখন বয়স

হোসে মোরিনহোর টিমকে নিয়ে কে কী বলছে, দেখার জন্য নেটে একটু বিদেশি কাগজগুলো ওল্টাচ্ছিলাম। দেখলাম, কয়েকটা কাগজ-ওয়েবসাইটে মোরিনহোর টিমকে তুলোধোনার পাশাপাশি বেশ কিছু মতামত পেশ করাও চলছে। অ্যালান শিয়ারারের মতো ইংরেজ ফুটবলের প্রবাদপ্রতিম অসন্তুষ্ট সেস ফাব্রেগাসকে নিয়ে। কেউ কেউ আবার এটাও লিখে ফেলছে যে, আমরা চ্যাম্পিয়ন চেলসির এই ভাবনাটাকেই চুরমার করে দিল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি।

Advertisement

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৫ ০৩:৪২
Share:

হোসে মোরিনহোর টিমকে নিয়ে কে কী বলছে, দেখার জন্য নেটে একটু বিদেশি কাগজগুলো ওল্টাচ্ছিলাম। দেখলাম, কয়েকটা কাগজ-ওয়েবসাইটে মোরিনহোর টিমকে তুলোধোনার পাশাপাশি বেশ কিছু মতামত পেশ করাও চলছে। অ্যালান শিয়ারারের মতো ইংরেজ ফুটবলের প্রবাদপ্রতিম অসন্তুষ্ট সেস ফাব্রেগাসকে নিয়ে। কেউ কেউ আবার এটাও লিখে ফেলছে যে, আমরা চ্যাম্পিয়ন চেলসির এই ভাবনাটাকেই চুরমার করে দিল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি।
চেলসি গতবারের ইপিএল চ্যাম্পিয়নের মুকুট ধরে রাখতে পারবে না, এটা এখনই বলাটা খুব বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে। আমি বলব, চেলসি এখনও তৈরি নয়। এখনও ওদের টিমটা অগোছালো। টিমে নতুনত্ব তেমন নেই। ডিফেন্স নির্ভর টিম ওরা এমনিতে। কিন্তু সেখানে ইভানোভিচের মতো কেউ কেউ বয়সের কোপে গতি হারিয়েছে। এটা ভেবে আশ্চর্য লাগছে যে, মোরিনহোর মতো কোচ দলবদলের বাজার থেকে একটাও ভাল ডিফেন্ডার কেন তুললেন না? ওঁর ফুটবলবোধ নিয়ে তো প্রশ্ন চলে না।
ভেবে দেখুন, গতবার বড় দলগুলোকে চেলসি বলে বলে হারিয়েছে। দিয়েগো কোস্তার ভয়াবহ ফর্মে ঝলসে দিয়েছে বিপক্ষকে। রবিবারের কোস্তা সেখানে সিটি মিডফিল্ডার ফার্নান্দিনহোর সঙ্গে ঝামেলা বাঁধিয়ে বসল। ফাব্রেগাস নড়াচড়াই করতে পারল না। সবচেয়ে বড় আতঙ্ক হল, মোরিনহোর এত দিনকার সফল স্ট্র্যাটেজি রবিবার ক্র্যাশ করল।
মোরিনহো কোনও দিন রে-রে আক্রমণে বিশ্বাসী নন। তাঁর ফুটবল-ঘরানা হল, ডিফেন্স আগে। সুন্দর ফুটবলের দরকার নেই। কিন্তু কার্যকরী ফুটবল খেলে পুরো পয়েন্ট তুলে নিতে হবে। মানে, ম্যাচ শেষে দেখা যাবে বিপক্ষ গোলের সুযোগ তৈরি করেছে প্রচুর। বল পজেশনেও এগিয়ে। কিন্তু পয়েন্ট মোরিনহোর। গতবারও ঠিক এটাই স্ট্র্যাটেজি ছিল। কিন্তু সিটির বিরুদ্ধে সে সব কোথায়? বেসিক‌স পর্যন্ত ঘেঁটে ফেলল টেরি-ইভানোভিচরা। সিটির নাভাস-সিলভা-কোলারভরা যখন উঠছে দেখলাম, আশেপাশে একজনও নেই আটকানোর। ওদের ক্রস নির্দ্বিধায় গিয়ে পড়ছে সিটি স্ট্রাইকারদের পায়ে।

Advertisement

আর আগেরোকে আটকাতে তো দেখলাম হিমশিম খেয়ে গেল টেরি। ওকে তুলেও নিলেন মোরিনহো। আসলে ওই যে বয়েস। ইভানোভিচ, টেরি আর পাল্লা দিতে পারছে না গতির সঙ্গে। খুব তাড়াতাড়ি একজন ভাল ডিফেন্ডার, একজন ভাল মিডফিল্ডার লাগবে চেলসির। হ্যাজার্ডের পাশে ওরই মতো কাউকে একটা দরকার। আর এর জন্য খুব সময় নষ্ট করলে চলবে না।

কে না জানে, প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে একটা প্রবাদই আছে ইংলিশ ফুটবলে। তোমার যদি অগস্ট মাসটা ভাল না যায়, মে মাসেও তোমাকে তা হলে পস্তাতে হবে। আর অগস্ট কিন্তু এখনও পর্যন্ত মোরিনহোর সঙ্গে নেই!

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন