রণক্ষেত্র আইন্দোভেন বনাম আটলেটিকো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচ। ছবি: এএফপি।
ফাউলে গোল বাতিল। রক্তাক্ত ফুটবলার। পেনাল্টি নষ্ট। মঙ্গলবার রাতের আটলেটিকো মাদ্রিদ বনাম পিএসভি আইন্দোভেন ম্যাচ কোনও নাটকের থেকে কম কিছু ছিল না।
গত তিন বছরে দু’বার রানার্স আপ হয়েছে আটলেটিকো। তিন বারে ভাগ্য ফেরানোর লড়াইয়ে নেমে ১-০ জয় দিয়ে শুরু করল আটলেটিকো। কিন্তু জয়ের পিছনে বিতর্কের রেশ থেকেই গেল।
নাটকের সূত্রপাত প্রথমার্ধের শুরুতেই। ফাউলের জন্য লুক দে ইয়ংয়ের গোল নাকচ করে দেওয়া হয়। বিরতির ঠিক আগেই গোল করে আটলেটিকো। সওল নিগেজের সৌজন্যে। কিন্তু পিএসভি ফুটবলাররা প্রতিবাদ জানান। তাঁদের অভিযোগ, কী করে রেফারি খেলা চলতে দিলেন যখন তাঁদের ডিফেন্ডার ডেভি প্রোপার চোট পেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মাঠে পড়েছিলেন। আটলেটিকো ডিফেন্ডার জোসে গিমেনেজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে প্রোপারের মাথা থেকে রক্ত পড়তে থাকে। কিন্তু তাতেও রেফারি খেলা থামাননি।
বিরতির পর অবশ্য পিএসভির সুযোগ ছিল বদলা নেওয়ার। কিন্তু পেনাল্টি ফস্কান আন্দ্রেস গুয়ার্দাদো। বাকি সময়ে আরও কয়েকটা সুযোগ তৈরি করেও সমতা ফেরাতে পারেনি পিএসভি।
ম্যাচ শেষে স্বভাবতই বাতিল গোল নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন পিএসভি কোচ ফিলিপ কোকু। যিনি বলছেন, ‘‘আমি বুঝতে পারলাম না গোলটা কেন দেওয়া হল না।’’ সঙ্গে আবার কোকু যোগ করেন, মাথায় চোট না পেলে প্রোপারই পেনাল্টি নিতেন। ‘‘গুয়ার্দাদোর পেনাল্টি নেওয়ার কথা ছিল না। প্রোপারই স্পটকিক নেয়। কিন্তু ওর মাথায় লেগেছিল। তাই আমার কিছু করার ছিল না,’’ বলছেন পিএসভি কোচ।
সাধারণ পারফরম্যান্সেও তিন পয়েন্ট পেয়ে অবশ্য সন্তুষ্ট আটলেটিকো কোচ দিয়েগো সিমিওনে। গত বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলোয় মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই ক্লাব। টাইব্রেকারে টাই জিতেছিল আটলেটিকো। এ দিনও গ্রুপে পিএসভির সঙ্গে জিতে সিমিওনে বলছেন, ‘‘সবাই জানে পিএসভি দারুণ দল। এ রকম একটা কঠিন ম্যাচ জিততে পেরে খুবই খুশি।’’
অন্য ম্যাচে আবার প্যারিস সাঁ জাঁর সঙ্গে ১-১ ড্র করল আর্সেনাল। এডিনসন কাভানির গোলে মাত্র এক মিনিটের মধ্যেই ১-০ এগোয় সাঁ জাঁ। অ্যালেক্সিস সাঞ্চেজের গোলে সমতা ফেরায় আর্সেনাল। ইনজুরি টাইমে আবার দুটো লাল কার্ডও হয়। সাঁ জাঁর মার্কো ভেরাত্তি ও আর্সেনালের জিরুঁ লাল কার্ড দেখেন। এফসি রোস্তভকে আবার ৫-০ উড়িয়ে দিল বায়ার্ন মিউনিখ। গোলদাতার তালিকায় ছিলেন টমাস মুলার, জোশুয়া কিমিচ (২), রবার্ট লেভানডস্কি ও হুয়ান বার্নাত।