ক্লার্কদের স্পিরিট দারুণ, বলছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী

বব হক যত বার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অতিথি হিসেবে আসেন, একটা ঘটনা ঘটেই। সাধারণত নতুন বছরের প্রথম টেস্টে এসসিজি গ্যালারিতে দেখা যায় ধবধবে সাদা চুলের ভদ্রলোককে। তাঁর হাতে কোনও না কোনও অতিউত্‌সাহী দর্শক অবধারিত ভাবে ধরিয়ে দেয় শেরির একটা বিরাট গ্লাস। গ্যালারি তাঁকে তাতাতে থাকে গ্লাসে এক চুমুক দেওয়ার জন্য। দর্শকদের চাপে ঘাড়টা সামান্য নিচু করে শেরির ঘ্রাণটুকু নেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৫ ০৩:২৬
Share:

ক্লার্কদের সঙ্গে বব হকের আড্ডা। সোমবার এসসিজিতে। ছবি: গেটি ইমেজেস।

বব হক যত বার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অতিথি হিসেবে আসেন, একটা ঘটনা ঘটেই। সাধারণত নতুন বছরের প্রথম টেস্টে এসসিজি গ্যালারিতে দেখা যায় ধবধবে সাদা চুলের ভদ্রলোককে। তাঁর হাতে কোনও না কোনও অতিউত্‌সাহী দর্শক অবধারিত ভাবে ধরিয়ে দেয় শেরির একটা বিরাট গ্লাস। গ্যালারি তাঁকে তাতাতে থাকে গ্লাসে এক চুমুক দেওয়ার জন্য। দর্শকদের চাপে ঘাড়টা সামান্য নিচু করে শেরির ঘ্রাণটুকু নেন তিনি।

Advertisement

সোমবার এসসিজিতে দেখা গেল পঁচাশি বছরের মানুষটিকে। তবে এ বার গ্যালারি নয়, সোজা মাঠে নেমে গেলেন বব হক। রীতিমতো আড্ডা দিলেন মাইকেল ক্লার্কদের সঙ্গে। না, ইনি কোনও অশীতিপর ক্রিকেটপাগল অস্ট্রেলীয় নন। ইনি এক সময় দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আর তারও আগে তাঁকে দেখা যেত উইকেটকিপিং গ্লাভস পরে, স্টাম্পের পিছনে!

কিপিংটা ভালই করতেন বব হক। পারথে, পরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্স্ট গ্রেড ক্রিকেট খেলেছেন। এ দিন যদিও অস্ট্রেলীয় উইকেটকিপার ব্র্যাড হাডিনকে পরামর্শ দিতে দেখা গেল না তাঁকে। বরং অস্ট্রেলীয় শিবিরে কয়েক ঘণ্টা কাটিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলে দিলেন, ভারতের কাছে বৃহস্পতিবার হারলেও হারতে পারেন ক্লার্করা। তবে সেই হারের কারণ হবে একান্তই ক্রিকেটীয়। তার জন্য টিম স্পিরিটকে কেউ দুষতে পারবে না।

Advertisement

“আমি ওদের গুড লাক বলতেই এসেছিলাম। টিমটার তালমিল দেখে তো বেশ ভাল লাগল। ক্রিকেটারদের মধ্যে সম্পর্ক মনে হয় খুব ভাল,” এ দিন বলে দিলেন বব। যাঁর দেশের মিডিয়াই মাসখানেক ধরে বলে যাচ্ছে, ক্লার্ক-স্মিথ-ওয়াটসনদের সম্পর্ক নাকি একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। বিতর্কের আগুনে সেঁকতে থাকা সেই টিমের অন্দরমহল ঘুরে এসে বব বলে দিচ্ছেন, “টিম স্পিরিট বরাবর যা ছিল, সে রকম দারুণই আছে। ক্লার্ক ছেলেটা খুব একটা হইহল্লা করে না, কিন্তু টিম নিয়ে ওর আস্থা আছে। আমার ওকে দারুণ লাগে। যে ভাবে চোটের সঙ্গে যুদ্ধ করে টিমে ফিরেছে, তার জন্য সবাই ওকে সম্মান করে। টিমের সবার কথা শুনে, একে-অন্যের সঙ্গে ওদের কথাবার্তা দেখে আমার তো খুব ভাল লাগল।”

হক যে দিন অস্ট্রেলীয় ট্রেনিংয়ে অতিথি, সে দিনই তাঁদের পড়শি দেশে দাবি উঠেছে মঙ্গলবার সরকারি ছুটি ঘোষণার। দেশের সবাই যাতে নিউজিল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা যুদ্ধটা দেখতে পারে। হক যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন ১৯৮৩-তে অস্ট্রেলিয়ার এক বিখ্যাত রাগবি কাপ জয়ের পর প্রায় একই রকম বিখ্যাত একটা মন্তব্য করেছিলেন। বলেছিলেন, সে দিন অফিস না আসার জন্য যদি কেউ তার কর্মীকে ছাঁটাই করে, তা হলে সেই ব্যক্তি চূড়ান্ত ‘বোকা’। তবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনালকে ঠিক সেই গুরুত্ব দিতে চান না বব। বরং তিনি বলছেন, “ওই দিনটা বোধহয় অফিস কামাই করা উচিত হবে না!”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন