দলের হাল ধরলেন ক্যাপ্টেন কোহালি। ছবি: এপি।
প্রাথমিক ধাক্কা সামলে ধীরে ধীরে চেনা ছন্দে ফিরছে টিম ইন্ডিয়া। সৌজন্যে, বিরাট কোহালি। দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারতীয় অধিনায়ক অপরাজিত রয়েছেন ৮২ রানে। তাঁর সঙ্গী হিসেবে ক্রিজে রয়েছেন অজিঙ্ক রাহানে। ৫১ রানে নট-আউট রয়েছেন মরাঠি। ভারতের রান ৩ উইকেটে ১৭২। আপাতত অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ১৫৪ রানে পিছিয়ে রয়েছে ভারত।
চা-বিরতির আগে পর্যন্ত ভারতের রান ছিল ২ উইকেট খুইয়ে ৭০। চেতেশ্বর পূজারাকে সঙ্গী করে ভারতকে সম্মানজনক জায়গায় পৌঁছে দেন কোহালি। তবে চা-বিরতির পর পূজারাকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর ফের সুবিধাজনক জায়গায় চলে যায় অস্ট্রেলিয়া। স্কোরবোর্ডে ভারতের রান তখন ৩ উইকেটে ৮২। এই পরিস্থিতি থেকে দলকে টেনে তোলেন ক্যাপ্টেন কোহালি ও রাহানে। দুজনে অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেটে এখনও পর্যন্ত ৯০ রান জুড়েছেন।
শনিবার প্রথম ইনিংসের শুরুতেই মাত্র ৫.১ ওভারের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়েছিল ভারত। তবে এর পর ক্রিজে নেমে হাল ধরতে বেশি সময় নেননি কোহালি-পূজারা জুটি। অতিরিক্ত সতর্ক নন, বরং সেই চেনা বিরাটকেই দেখা গেল বার বার। অজি পেসারদের সামলে নিয়ে বেশ কয়েক বার বাউন্ডারির বাইরেও বল পাঠালেন তিনি। হাফ সেঞ্চুরি করার পথে ৬টি চার এল তাঁর ব্যাট থেকে।
(ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন— ফিরে দেখা এই দিন।)
তবে, প্রথম দিকে এক প্রান্ত ধরে রাখলেও শেষমেশ মাত্র ২৪ রান করে ফিরে গিয়েছেন চেতেশ্বর পূজারা। তবে মিচেল স্টার্কের বলে আউট হয়ে ফিরে যাওয়ার আগে ১০৩ বলে ওই রান করার আগে ভারতকে খানিকটা হলেও স্বস্তি দিয়েছেন তিনি। ৮ রানে দুই উইকেট থেকে দলের রান ৮২-তে নিয়ে যান কোহালি-পূজারা।
এ দিন লাঞ্চের আগে শেষ ওভারে ফিরে যান মুরলী বিজয়। মিচেল স্টার্কের বল পিচে পড়ার পর লেট সুইং করে ছিটকে দেয় বিজয়ের স্টাম্প। স্কোরবোর্ডে ভারতের পাশে তখন রান ৩.১ ওভারে ৬-১। অস্ট্রেলিয়ার থেকে পিছিয়ে ৩২০ রানে। হাত ছিল ৯ উইকেট।
শূন্য রানে আউট হলেন মুরলী বিজয়। ছবি: এপি।
পার্থের পিচে প্রথম ইনিংসের শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে যান বিরাট কোহালিরা। টিম ইন্ডিয়ার ওপেনিং জুটি ভাঙে মাত্র ৩.১ ওভারে। শূন্য রানে বিজয়ের আউট হওয়ায় ধরন দেখে আর চুপ করে থাকতে পারেননি সুনীল গাওস্কর। বলেই ফেলেন, “এ তো হাফ পুশ, হাফ ড্রাইভ! লাঞ্চের আগে এ ধরনের শট খেলা কেন?”
যে বলে ডিফেন্স করা উচিত, সেই বলে ব্যাট চালাতে গিয়ে আউট হলেন বিজয়। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কও বললেন, “ড্রেসিং রুমে ফিরে নিজের উপর প্রচণ্ড রেগে যাবেন বিজয়।” তবে শুধু বিজয়কে বা দোষ দেওয়া কেন? বিজয়ের সঙ্গী কে এল রাহুলও বেশি ক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। জশ হেজ্লউডের বলে মাত্র ২ রান করে তিনিও বিজয়ের পথ ধরলেন।
গত কালের ২৭৭-৬ নিয়ে খেলতে নেমে ৩৮ রানের দামি ইনিংস খেললেন অজি অধিনায়ক টিম পেইন। লোয়ার অর্ডারে প্যাট কামিন্সও জুড়লেন ১৯ রান। ভারতীয় পেসারদের বিরুদ্ধে ৬৬ বল ধরে অটুট থাকল তাঁর ডিফেন্স। শেষমেশ লাঞ্চের কিছু ক্ষণ আগে ৩২৬ রানে শেষ হয় অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস।
৪১ রান খরচ করে ইশান্ত শর্মা একাই তুলে নেন ৪ উইকেট। ২টো করে উইকেট নিয়েছেন যশপ্রীত বুমরা, উমেশ যাদব এবং হনুমা বিহারী। তবে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের বেগ দিলেও প্রথম ইনিংসে উইকেট অধরাই রইল মহম্মদ শামির।
(আইসিসি বিশ্বকাপ হোক বা আইপিএল টেস্ট ক্রিকেট, ওয়ান ডে কিংবা টি-টোয়েন্টি।ক্রিকেট খেলারসব আপডেট আমাদেরখেলাবিভাগে।)