দুই প্রধানের ভবিষ্যৎ কিন্তু সঙ্কটে

আইএসএলের প্রতি কলকাতার দুই প্রধানের সমর্থক ও কর্তাদের প্রচুর ক্ষোভ রয়েছে। কিন্তু বাস্তবটা মেনে নিতেই হবে। ভারতীয় ফুটবলারদের প্রধান লক্ষ্যই এখন আইএসএলে খেলা। আই লিগ নিয়ে ওরা একেবারেই আগ্রহী নয়।

Advertisement

আই এম বিজয়ন

শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৮ ০৫:০২
Share:

আই লিগে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের ব্যর্থতায় সমর্থকরা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। আমি কিন্তু আতঙ্কিত দুই প্রধানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে।

Advertisement

আইএসএলের প্রতি কলকাতার দুই প্রধানের সমর্থক ও কর্তাদের প্রচুর ক্ষোভ রয়েছে। কিন্তু বাস্তবটা মেনে নিতেই হবে। ভারতীয় ফুটবলারদের প্রধান লক্ষ্যই এখন আইএসএলে খেলা। আই লিগ নিয়ে ওরা একেবারেই আগ্রহী নয়। এই কারণেই ওরা ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানে খেলার স্বপ্ন দেখে না। আমাদের সময় কিন্তু ছবিটা সম্পূর্ণ উল্টো ছিল। জানতাম, কলকাতা ময়দানে সফল না হলে ভারতীয় ফুটবলে প্রতিষ্ঠা পাওয়া যায় না। দ্বিতীয়ত, কলকাতা লিগ ছিল প্রতিশ্রুতিমান ফুটবলারদের নিজেদের প্রমাণ করার মঞ্চ। বহু ফুটবলার উঠে এসেছে ঘরোয়া লিগ থেকে। এখন তো কলকাতা লিগ নিয়ে ক্লাবগুলোরই আগ্রহ নেই। তাই ভাল ফুটবলারও উঠে আসছে না।

ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের আই লিগে ব্যর্থতার জন্য শুধু ফুটবলারদের কাঠগড়ায় তুলে লাভ নেই। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে না পারার জন্যই এই হাল কলকাতার দুই প্রধানের। আইএসএলের মতো টুর্নামেন্টের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্য যে পেশাদারিত্ব প্রয়োজন, তা নেই ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানে। মাত্র দু’বছরের পুরনো ক্লাব মিনার্ভা এফসি-ও পেশাদারিত্বে অনেক এগিয়ে কলকাতার দুই প্রধানের চেয়ে। দুই ক্লাবই এই মরসুমে দল গড়তে দশ কোটিরও বেশি খরচ করছে। অথচ মিনার্ভা খরচ করেছে মাত্র দেড় কোটি টাকা। দল গঠনের খরচ তখনই কমানো সম্ভব, যখন নিজেদের অ্যাকাডেমির ফুটবলাররা খেলে। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের মতো প্রাচীন দুই ক্লাবের উচিত নিজেদের অ্যাকাডেমি থেকে ফুটবলার তুলে আনার ক্ষেত্রে জোর দেওয়া। প্রয়োজন সঠিক বিদেশি নির্বাচনও। মিনার্ভা, নেরোকা, আইজল-এর মতো দলগুলো খুব কম খরচে ভাল মানের বিদেশি সই করিয়েছে। আমার প্রশ্ন, কলকাতার ক্লাবগুলোই কেন বারবার বিদেশি নিয়ে সমস্যায় পড়ে। ইস্টবেঙ্গল তো শেষ কয়েকটা ম্যাচ এক জন কম বিদেশি নিয়েই খেলল! এই ভাবে চললে কিন্তু অস্তিত্ব বজায় রাখাই কঠিন হবে দুই প্রধানের।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন