বুমরার চোটের জন্য অ্যাকশন দায়ী নয়, মনে করছেন নেহরা

খেলোয়াড় জীবনে চোট-আঘাতের ধাক্কা সামলানোর অভিজ্ঞতা প্রচুর নেহরার।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:২০
Share:

চর্চায়: চোটের জন্য দুটি সিরিজের বাইরে যশপ্রীত বুমরা। ফাইল চিত্র

সম্প্রতি চোটের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বাংলাদেশ সিরিজ থেকে ছিটকে গিয়েছেন যশপ্রীত বুমরা। যে চোট সারিয়ে উঠতে দু’মাস সময় লাগতে পারে ভারতীয় বোলারের। প্রশ্ন উঠছে বুমরার এই চোট (পিঠের নীচের দিকে স্ট্রেস ফ্র্যাকচার) কি তাঁর বোলিং অ্যাকশনের জন্য? কারণ, বুমরার বোলিং অ্যাকশন প্রথাগত নয়। প্রাক্তন ভারতীয় পেসার আশিস নেহরা কিন্তু তা মনে করেন না।

Advertisement

খেলোয়াড় জীবনে চোট-আঘাতের ধাক্কা সামলানোর অভিজ্ঞতা প্রচুর নেহরার। তিনি বলেছেন, ‘‘স্ট্রেস ফ্র্যাকচারের সঙ্গে বোলিং অ্যাকশনের সম্পর্ক নেই। এই ধারণাটা পরিষ্কার করে নিতে হবে। বুমরার বোলিং অ্যাকশন পাল্টানোর কোনও দরকার নেই। পাল্টালে তাতে ভাল হবে না। আমি নিশ্চিত করতে পারি বুমরা এই চোট কাটিয়ে ফিরে আসার পরে একই অ্যাকশন এবং গতিতে বল করতে পারবে।’’ নেহরা আরও বলেছেন, ‘‘ওর বোলিং অ্যাকশন অতটাও প্রথাগত অ্যাকশনের চেয়ে আলাদা নয়। বোলিংয়ের সময় যে জায়গায় ওর শরীরটা থাকে এবং বলটা ছাড়ার মুহূর্তটা নিখুঁত। একটাই জিনিস প্রথাগত নয়, ওর বাঁ-হাতের অবস্থান। বাঁ-হাতটা উপরের দিকে ওঠে না। তবুও ওর বোলিং অ্যাকশন মালিঙ্গার থেকে ১০ গুণ ভাল। মালিঙ্গার হাঁটু, পিছনের পা বেঁকে যায়, যাতে ওর বোলিং অ্যাকশন দেখলে জ্যাভলিন থ্রোয়ারের মতো লাগে।’’

চোট-আঘাতের সঙ্গে লড়াই করার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থাকা নেহরা মনে করেন এই ধরনের চোট থেকে সেরে ওঠার ক্ষেত্রে কোনও সময় বেঁধে দেওয়া উচিত হবে না। ‘‘স্ট্রেস ফ্র‌্যাকচার সারিয়ে ওঠার কোনও ধরাবাঁধা সময় থাকে না। যশপ্রীত হয়তো দু’মাস পরেই ভাল হয়ে উঠতে পারে। আবার ছ’মাস পরে সুস্থবোধ নাও করতে পারে। সেই ক্রিকেটারই জানে কখন তার শরীর ম্যাচ খেলার জন্য একশো শতাংশ তৈরি,’’ বলে দেন নেহরা। এই চোট সারিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে রিহ্যাব ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। নেহরা বলেছেন, ‘‘ডিস্ক চোট বা কোনও স্নায়ু টিসুর চোটের মতো স্ট্রেস ফ্যাকচারের কোনও ওষুধ নেই। বিশ্রাম আর রিহ্যাবই আসল।’’

Advertisement

বুমরার চোটের পরে ভারতীয় ক্রিকেটারদের অতিরিক্ত পরিশ্রম করা নিয়ে অযথা কথা উঠছে বলে মনে করেন প্রাক্তন ভারতীয় বোলার। ‘‘বুমরার খেলোয়াড় জীবনের এই সময়ে যত বেশি ও খেলবে তত ভাল। জসসি-র (যশপ্রীত) বয়স মাত্র ২৫ বা ২৬। তিন বছর হয়ে গেল ও আন্তর্জাতিক ক্রিকট খেলছে। নিজের শরীর ও-ই সব চেয়ে ভাল চেনে। ও আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবে, সঙ্গে বলের গতিও একই রকম থাকবে,’’ বিশ্বাস নেহরার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন