তিন রাউন্ডেই নক-আউট করেছিলেন সনি উইটিংকে। পেশাদার বক্সিং কেরিয়ার শুরুতে প্রমাণ করেছিলেন কেন অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন। আগামী শনিবার তাঁর সামনে নটিংহ্যামের ডিন গিলেন। বাউটের আটচল্লিশ ঘণ্টা আগেও তাঁর সুর আত্মবিশ্বাসী। যেন প্রমাণ করতে মরিয়া প্রথম জয়টা ‘ফ্লুক’ ছিল না। তিনি— বিজেন্দ্র সিংহ। ফোনে আনন্দবাজারকে একান্তে বলে দিলেন, ‘‘প্রথম জয়টা আমার ক্ষমতার জোরেই পেয়েছি। ওটা কোনও ফ্লুক নয়, সেটা বোঝাতেই আবার রিংয়ে নামব।’’
পেশাদার বক্সিংয়ে এখনও অপরাজিত ডিন। তবে রিংয়ে নামার আগে বিজেন্দ্রও প্রস্তুতির কোনও কমতি রাখছেন না। কোচ লি বিয়ার্ডের সঙ্গে প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রেনিং করছেন। ট্রেনিংয়ের ফাঁকে আনন্দবাজারকে বললেন, ‘‘আমাকে আরও উন্নতি করতে হবে। আমি জানি না ডিন কী রকম বক্সার। কিন্তু নিজের গতি আর টেকনিকের উপরে আমার ভরসা আছে। তবে আরও বেশি গতি বাড়াতে হবে রিংয়ে,’’ বলছেন অলিম্পিক ব্রোঞ্জজয়ী বক্সার।
সনির ম্যাচটা জেতার পর দেশ থেকে একের পর এক শুভেচ্ছা বার্তা পেয়েছেন। বলছিলেন, ‘‘বন্ধুরা তো বটেই, দেখলাম টুইটারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মানুষ আনন্দ প্রকাশ করেছেন। আমাকে নিয়ে টুইট করেছেন। আরও বেশি উদ্বুদ্ধ হয়েছি।’’
বক্সিং করা ছাড়াও বিজেন্দ্রর আর এক পছন্দ বলিউড ছবি দেখা। যখনই সময় পান চুটিয়ে হিন্দি ছবি দেখেন। পছন্দের নায়কের সম্বন্ধে প্রশ্ন করা হলে একটুও না ভেবে বলে দেন, ‘‘বলিউডে একটাই তো ভাই আছে! সলমন ভাই!’’ ‘বজরঙ্গি ভাইজান’-এর সঙ্গে নাকি তাঁর খুব বন্ধুত্ব। ফোনে কথাও বলেন সময় পেলেই। ‘‘সলমন ভাই আমার খুব কাছের লোক। যখন সুযোগ পাই সলমন ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথাও বলি। সলমন ভাই আমাকে নিয়মিত তাতায়,’’ বললেন বিজেন্দ্র। সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘এই তো সে দিনই সলমন ভাই টিপস নিচ্ছিলেন নতুন ছবি সুলতানের আগে।’’
বিজেন্দ্রর দ্বিতীয় লড়াই
শনিবার রাত ১১-০০, সোনি সিক্স
বক্সার হলেও প্রিয় খাবারের লোভ ছাড়তে পারেননি বিজেন্দ্র। হতে পারে তিনি পেশাদার বক্সার। কিন্তু এখনও চকোলেট দেখলে ছোট বাচ্চার মতোই নিমেষে উড়িয়ে দেন। হাসতে হাসতেই ফোনে বিজেন্দ্র বললেন, ‘‘চকোলেট খেতে খুব ভালবাসি। জানি শরীর ঠিক রাখতে হবে। কিন্তু এখনও চকোলেট খাওয়ার লোভ ছাড়তে পারিনি।’’
শনিবারের ম্যাচের আগে পরিবারের সদস্যরা বিজেন্দ্রকে শুভেচ্ছা জানালেও আবার সতর্কও করে দিচ্ছেন, ‘‘বাড়ির লোকেরা বলছে, আর যাই করিস মুখটা বাঁচিয়ে রাখিস। বেশি ঘুসি খাস না।’’