শেষ চেষ্টা: সোমবার সকালে মাঠ পরিচর্যা গুয়াহাটিতে। তাতেও অবশ্য রাখা গেল না ম্যাচ। নিজস্ব চিত্র
যুবভারতীতে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের ব্রাজিল বনাম ইংল্যান্ডের হাইভোল্টেজ সেমিফাইনাল ম্যাচ সংগঠন করতে রাজি, এই সিদ্ধান্ত নিতে রাজ্য সরকার সময় নিল মাত্র তিন মিনিট। কিন্তু রাজ্য সরকার রাজি হয়ে গেলেও চিন্তা থেকে যাচ্ছে টিকিটের সুস্থ বণ্টন নিয়ে।
দুপুর থেকেই জল্পনা চলছিল ম্যাচ সরে আসতে পারে কলকাতায়। কিন্তু ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের কাছে বিকেল চারটে বারো মিনিটে ফিফা কর্তাদের ফোন আসে। তখন তিনি নবান্নেই ছিলেন। তাঁর কাছে সংগঠকদের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়, গুয়াহাটির ম্যাচ বাংলায় হলে তাঁরা সংগঠন করতে রাজি কি না? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘এগিয়ে যাও’ সম্মতি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চারটে পনেরোয় ক্রীড়ামন্ত্রী বলে দেন, ‘‘সরকার রাজি। ম্যাচটা আমরা করব।’’ এরপরই নবান্ন থেকে ক্রীড়ামন্ত্রী চলে আসেন যুবভারতীতে।
গুয়াহাটিতে সমস্যা হতে পারে ভেবে বিশ্বকাপের প্রোজেক্ট ডিরেক্টর, ভেনু ডিরেক্টর-সহ কিছু কর্তা রয়ে গিয়েছিলেন শহরে। ডেকে নেওয়া হয় শীর্ষস্থানীয় পদস্থ পুলিশ কর্তা-সহ বিশ্বকাপ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকটি দফতরকেও। টিকিট বণ্টন সুষ্ঠুভাবে করার জন্য ডেকে পাঠানো হয় তিন প্রধানের কর্তাদের।
আরও পড়ুন: ‘পাওলিনহোদের মনোবলটা বেড়ে যাবে’
সোমবার সকালে ব্রাজিল এবং আগেই ইংল্যান্ড চলে গিয়েছে গুয়াহাটিতে। সম্প্রচার সংস্থার কর্মীরাও চলে গিয়েছেন সেখানে। এই অবস্থায় দুপুর সাড়ে তিনটে পর্যন্ত সেখানকার মাঠ পরীক্ষা করার পর দু’দলের সঙ্গে কথা বলে ফিফার পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ম্যাচ সরিয়ে নেওয়া হবে। কেন কলকাতাকেই বাছা হল? বিশ্বকাপের প্রোজেক্ট ডিরেক্টর জয় ভট্টাচার্য বললেন, ‘‘মুম্বই ছাড়া সব কেন্দ্রেই কাজকর্ম সব গুটিয়ে নেওয়া হয়েছে। মুম্বইতে তো একটা সেমিফাইনাল হচ্ছেই। তা ছাড়া গুয়াহাটির কাছাকাছি কলকাতা।’’
সাংগঠনিক সমস্যা ক্রীড়ামন্ত্রী মিটিয়ে দিলেও টিকিট বণ্টন নিয়ে সমস্যা মেটেনি। গুয়াহাটি থেকে কলকাতায় রাতারাতি সরে আসা বুধবারের সেমিফাইনালের সব টিকিট একশো টাকায় দেওয়া হচ্ছে। তবে অনলাইনে। সোমবার রাত সাড়ে আটটা থেকে টিকিটের অনলাইন বুকিং শুরু হয়েছে। কিন্তু দর্শকরা কী করে বা কখন হাতে টিকিট পাবেন বলতে পারছেন না সংগঠকরা। শোনা যাচ্ছে, ম্যাচের দিন বুধবার ভোর থেকেই বুকিং-এর স্লিপ দেখিয়ে টিকিট পাবেন দর্শকরা। বুধবার ভোর মানে ম্যাচের দিনের ভোরবেলা। যা নিয়ে ডামাডোলের আশঙ্কা প্রবল।