কপাল বটে সিএবির!
দিন কয়েক আগেই রাজস্থান মাঠে পিচ খুঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠে পড়েছিল সিএবি-তে। যা নিয়ে প্রায় তুলকালাম ঘটে যায়। অভিযোগ করা হয় থানায়ও। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই প্রায় একই রকম আর এক অদ্ভুত কাণ্ড ঘটে গেল ওয়াইএমসিএ মাঠে। না, পিচ খোঁড়াখুঁড়ি নয়। আবিষ্কার করা হল, পিচের জায়গায়-জায়গায় ঘাস কেউ তুলে নিয়ে চলে গিয়েছে! জালের ঘেরাটোপে দিব্য ফুটো করে। পিচে কোথাও অল্প ঘাস আছে, কোথাও আবার একদম সাফ।
আর বিস্তর খুঁজে-টুঁজে সিএবি এর পিছনে যে কারণ খুঁজে পেল, তা বেশ রোমাঞ্চকর। অশ্বতর। তারা রাতে ঢুকেছে, জালের ঘেরাটোপের তোয়াক্কা করেনি এবং দিব্য পিচের উপর গজানো ঘাস খেয়ে চলে গিয়েছে! যার ফলে পিচ তৈরিতে ব্যাঘাত ঘটছে।
সিএবি-র গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান দেবব্রত দাস বলছিলেন, ‘‘সব রকম চেষ্টা করছি এদের উৎপাত থামানোর। মাঠের মালিদের নির্দেশও দিয়ে এসেছি।’’ শোনা গেল, সেই নির্দেশিকাও বেশ অভিনব। চার ফুট উঁচু জাল দিয়ে বিভিন্ন মাঠকে ঘিরে ফেলতে বলা হয়েছে। কারণ, রাতে অশ্বতরদের যাতায়াত অবাধ। শুধু তাই নয়, মালিদের বলা হয়েছে পালা করে রাত জাগতে। যাতে এমন কাণ্ড আটকানো যায়। ১৬ ডিসেম্বর থেকে সিএবি লিগ আছে।
সমস্যাও আছে অবশ্য। আর সেটা পিচ নিয়েই। কোনও কোনও ক্লাবকে গজগজ করতে শোনা গেল, দ্বিতীয় ডিভিশন আর প্রথম ডিভিশনের ম্যাচের মধ্যে ফারাক রাখা হয়েছে এক দিনের। এক দিনের মধ্যে জল-টল দিয়ে পরের ম্যাচের জন্য পিচ তৈরি করা সম্ভব কী ভাবে?
সব মিলিয়ে লিগ শুরুর আগেই ময়দান সরগরম।