মহুয়া সঙ্ঘ ও ভবাণীপুরের ম্যাচের একটি মুহূর্ত। ছবি: নির্মল বসু।
শতবর্ষপ্রাচীন কারমাইকেল শিল্ড এ বার কলকাতাতেই যাচ্ছে। প্রতিযোগিতার শেষ চারে ওঠা স্থানীয় দু’টি দলই সেমিফাইনালে হেরে গিয়েছে। ফাইনালে উঠেছে কলকাতার দুই ক্লাব ইউনাইটেড স্পোটর্স ও ভবানীপুর ক্লাব। ফাইনাল হবে, আগামী ৪ জুলাই। রবিবার শিল্ডের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল বসিরহাটের মহুয়া সঙ্ঘ ও কলকাতার ভবানীপুর। বৃষ্টির মধ্যেও বসিরহাট স্টেডিয়াম ছিল দর্শক ঠাসা। এ দিন নির্ধারিত সময়ের খেলায় কোনও দলই গোল করতে পারেনি। টাইব্রেকারে ভবানীপুর ৫-৪ গোলে হারায় মহুয়া সঙ্ঘ। শনিবার কলকাতার ইউনাইটেড স্পোর্টিং ৩-০ গোলের ব্যবধানে বসিরহাটের প্রান্তিক ক্লাবকে হারিয়ে করে ফাইনালের ছাড়পত্র পায়। ইউনাইটেড স্পোর্টসের দীপঙ্কর সরকার এবং ভবানীপুরের ইন্দ্রজিৎ দাস ম্যাচের সেরা হন। বৃষ্টির জন্য প্রথম সেমিফাইনালের আগে মাঠে জল জমে গিয়েছিল। জল বের করার জন্য চারটি পাম্প বসানো হয়েছিল। উদ্যোক্তাদের পক্ষে ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস জানান, ৪ জুলাই ফাইনাল খেলায় মাঠে উপস্থিত থাকবেন প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, গৌতম সরকার, মিহির বসু, অলোক দাস-সহ চলচ্চিত্র ও প্রশাসনিক জগতের অনেকে। ফাইনালে স্থানীয় কোনও ক্লাব না থাকায় এলাকার ফুটবলপ্রেমীরা কিছুটা হতাশ। তবে তাতে অবশ্য তাঁদের উৎসাহ কমছে না। উদ্যোক্তাদের দাবি, ফাইনালের দিন মাঠে থাকার জন্য শহর জুড়ে ইতিমধ্যেই টিকিটের ভাল চাহিদা তৈরি হয়েছে।