বন্ধু মারফত নতুনকে অভিনন্দন প্রাক্তনের

বিশ্বরেকর্ডের নতুন মালিক ঝুলন গোস্বামীর কাছে বহু অভিনন্দনের মধ্যে একটি এল অস্ট্রেলিয়া থেকে। অভিনন্দন বার্তা পাঠানো অস্ট্রেলীয়র নাম? ক্যাথরিন ফিৎ্জপ্যাট্রিক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৭ ০৪:৪১
Share:

বিশ্বসেরা: নতুন রেকর্ড এখন ঝুলনের দখলে। ফাইল চিত্র

বিশ্বরেকর্ডের নতুন মালিক ঝুলন গোস্বামীর কাছে বহু অভিনন্দনের মধ্যে একটি এল অস্ট্রেলিয়া থেকে। অভিনন্দন বার্তা পাঠানো অস্ট্রেলীয়র নাম? ক্যাথরিন ফিৎ্জপ্যাট্রিক। যাঁর রেকর্ড ঝুলন ভাঙলেন। ক্যাথরিনের ছিল ১৮০ উইকেট। মেয়েদের একদিনের ক্রিকেটে সেটাই ছিল এতদিন সর্বোচ্চ উইকেট সংখ্যা। নতুন বিশ্বরেকর্ডের মালিক ঝুলনের সংগ্রহে এখন ১৮১ উইকেট।

Advertisement

বাংলার কৃতী কন্যা এই মুহূর্তে আছেন পোচেসত্রুমে। সেখানেই তিনি মঙ্গলবার একদিনের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হয়েছেন। ঝুলনদের এ দিন কোনও ম্যাচ ছিল না। আবার তাঁদের ম্যাচ আছে আজ, বৃহস্পতিবার। বিশ্বরেকর্ড করার পরের দিনও তাই প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক নেই দেশের গর্বের। দলের সঙ্গে অনুশীলনে নিজেকে ডুবিয়ে রাখলেন।

অনুশীলন সেরে ফেরার পর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মোবাইল ফোনে ঝুলন বলছিলেন, ‘‘ক্যাথরিনের সঙ্গে আমি খেলেছি। তখন ও বেশ সিনিয়র। খুবই সম্মান করতাম আমরা ওকে।’’ তার পরেই শোনালেন অভিনব কাহিনি। ‘‘ও যখন খেলত, তখন মোবাইলের চল ছিল না। তাই ওর সঙ্গে খেললেও ওর কাছে আমার নম্বর বা আমার কাছে ওর নম্বর ছিল না। কিন্ত ক্যাথরিন ওর এক বন্ধুর মারফত যোগাযোগ করে আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। আমি ওর এই সৌজন্যে মুগ্ধ।’’

Advertisement

নতুন বিশ্বরেকর্ডের মালিক যদিও খুব বেশি উৎসব বা উন্মাদনার মধ্যে ঢুকতে চান না। বললেন, ‘‘এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য এই সিরিজটা জেতা। ভাল করতে পারলে বিশ্বকাপের জন্য মনোবল বেড়ে থাকবে। আমার রেকর্ড এখন অতীত। সামনের দিকে তাকাতে চাই।’’

আরও পড়ুন: সিংহের ডেরায় সিংহ বধ দিল্লির

পোচেসত্রুম মোটেও কেপ টাউন নয় যে, দারুণ রেস্তোরাঁয় গিয়ে উৎসব সারা যাবে। বুধবার রাতে তবু টিম ডিনারে গিয়ে সকলে মিলে ছোটখাটো আকারে সেলিব্রেট করার কথা হয়েছিল। ঝুলন বলছিলেন, ‘‘ভাল করে না হয় পরে সেলিব্রেট করা যাবে। সময় তো আছেই। এখন আমরা টুর্নামেন্টের মধ্যে আছি। আমার রেকর্ডের দিকে ফোকাস চলে যাক, চাই না।’’ তা হলে রাতের টিম ডিনারে কোনও পরিকল্পনাই নেই? ঝুলন যোগ করলেন, ‘‘খুব ছোট করে একটা সেলিব্রেশন হতে পারে। তবে বড় কিছু করা যাবে না। সে সব টুর্নামেন্ট শেষে ভাবা যাবে।’’

বোঝা গেল, বিশ্বরেকর্ডের মালিক হয়েও তারকাসুলভ আচরণ নয়, ঝুলন আগে দলের এক সদস্য। তার পর ব্যক্তিগত মাইলস্টোন। চাকদহ এক্সপ্রেস সত্যিই অনন্য উদাহরণ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement