একাগ্র: নাইট রাইডার্সের প্রস্তুতিতে ‘সিমিউলেশন ট্রেনিং’ শুভমন গিলের। বুধবার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে সদ্য হ্যাটট্রিক করে ফিরেছেন তিনি। বাংলার বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়ে কেরলকে জিতিয়েছিলেন এই ডান হাতি পেসার। রঞ্জি ট্রফি মরসুমে কেরলের হয়ে ৪৪টি উইকেট রয়েছে তাঁর। তিনি সন্দীপ ওয়ারিয়র। বুধবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সল্টলেক ক্যাম্পাসের মাঠে কেকেআর অনুশীলনের প্রথম দিনই বল করতে দেখা গেল তাঁকে।
দলীয় সূত্রে খবর, বর্তমানে নেট বোলার হিসেবে দলের সঙ্গে রাখা হয়েছে সন্দীপকে। নিজেকে প্রমাণ করতে পারলে কেকেআর ফ্র্যাঞ্চাইজির অন্যতম যোদ্ধা হয়ে উঠবেন এই ওয়ারিয়র।
গত বার কর্নাটকের পেসার প্রসিদ্ধ কৃষ্ণকেও একই পরীক্ষা দিতে হয়েছিল। দলের সঙ্গে নেট বোলার হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। খেলেছিলেন প্র্যাক্টিস ম্যাচও। সেখানে পারফর্ম করার পরই তাঁকে দলের সদস্য করে নেওয়া হয়। এমনকি নিয়মিত প্রথম একাদশে সুযোগ পান তিনি। সাত ম্যাচে দশ উইকেট নিয়ে দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য বোলার হয়ে ওঠেন। কেকেআর অবশ্য সন্দীপকে ডেকেছে টি-টোয়েন্টিতে তাঁর পারফরম্যান্স দেখেই। জাতীয় টি-টোয়েন্টি প্রতিয়োগিতায় ছয় ম্যাচে আট উইকেট রয়েছে তাঁর। সব চেয়ে বেশি নজর কেড়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করে। শেষ ওভারে কেভি শশীকান্ত, কর্ণ শর্মা ও এসকে ইসমাইলকে ফিরিয়ে কেরলকে জেতান তিনি।
দু’দিকেই সুইং করানোর ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। সেই সঙ্গে রয়েছে স্লোয়ার ও ইয়র্কারের মিশেল। ২০১৩ আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে ছিলেন। কিন্তু একটি ম্যাচও খেলা হয়নি। এ বার কেকেআর তাঁকে প্রথম দলে সুযোগ দেয় কি না সেটাই দেখার। সন্দীপ ছাড়াও এ দিন কেকেআর অনুশীলনে উপস্থিত ছিলেন রবিন উথাপ্পা, শুভমন গিল, রিঙ্কু সিংহ, বাঁ হাতি পেসার পৃথ্বীরাজ ইয়ারা ও অলরাউন্ডার শ্রীকান্ত মুন্ধে। শুভমন, উথাপ্পা ও রিঙ্কু দীর্ঘক্ষণ ‘সিমিউলেশন ট্রেনিং’ (ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী অনুশীলন) করলেন। কেকেআর কোচিং স্টাফ অভিষেক নায়ারের প্রশিক্ষণে দীর্ঘক্ষণ ব্যাট করেন এই তিন ব্যাটসম্যান।
প্রত্যেক বার যেখানে স্থানীয় বোলার দিয়ে অনুশীলন করানো হয়। সেখানে নায়ার নিজেই এনসিএ থেকে বোলার নিয়ে এসেছেন দলকে অনুশীলন করানোর জন্য। কিন্তু কেকেআর সমর্থকদের মধ্যে সব চেয়ে উদ্বেগের বিষয়, লোকসভা নির্বাচনের জন্য ইডেন থেকে ম্যাচ সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। কিন্তু সমর্থকদের জন্য খুশির খবর, দলের বেশির ভাগ ‘হোম ম্যাচ’-ই হতে চলেছে তাঁদের প্রিয় ইডেনে। সে রকমই ইঙ্গিত মিলেছে।
দলের সিইও বেঙ্কি মাইসোর এ দিন বলেন, ‘‘নির্বাচন সংক্রান্ত আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক সেরে এসেছি। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে ইতিবাচক ইঙ্গিত পেয়েছি যে, বেশির ভাগ হোম ম্যাচই আমরা ইডেনে খেলব। আমরাও তো চাই ইডেনেই খেলতে। একান্তই না হওয়ার কারণ সে ভাবে দেখছি না। আশা করি, দু’একদিনের মধ্যেই আগামী সূচি ঘোষণা করা হবে।’’