লক্ষ্য: চিনে বিশ্বরেকর্ড গড়ার সুযোগ লিয়েন্ডারের। ফাইল চিত্র
প্রচণ্ড ঠান্ডা তিয়ানজিনে। বুধবারও তুষারপাত হয়েছে। তাপমাত্রা নামছে দ্রুত। শুক্রবার এই কঠিন আবহাওয়া সামলেই ডেভিস কাপের বিশ্ব গ্রুপ প্লে-অফে চিনের চ্যালেঞ্জ সামলাতে নামছে লিয়েন্ডার পেজের ভারত।
৪৪ বছর বয়সি লিয়েন্ডারের সামনে আবার বিশ্বরেকর্ড গড়ার সুযোগ রয়েছে এই লড়াইয়ে। ৪২টি ডাবলস জিতে তিনি ডেভিস কাপে কিংবদন্তি ইতালির নিকোলা পিয়েত্রাঙ্গেলির নজির স্পর্শ করছেন। আর একটি ম্যাচ জিতলেই তিনি নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়বেন।
তবে ভারতীয় দলকে শুধু কনকনে ঠান্ডা আবহাওয়াই নয়, তার সঙ্গে বিতর্ক সামলেও নামতে হচ্ছে এই লড়াইয়ে। ডেভিস কাপের দল ঘোষণার পরেই লিয়েন্ডারের সঙ্গে একই দলে খেলা নিয়ে খুশি ছিলেন না ডাবলস তারকা রোহন বোপান্না। লিয়েন্ডার অবশ্য এ সব বিতর্ক উড়িয়ে দিচ্ছেন। তিনি বলছেন, ‘‘চিনের বিরুদ্ধে ওদের দেশে লড়াই করা কঠিন। ওদের দলে জুনিয়র যুক্তরাষ্ট্র ওপেন জয়ী খেলোয়াড় রয়েছে। তা ছাড়া ওদের ডাবলস জুটিটাও বেশ শক্তিশালী। নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছিল ওরা। তাই এই লড়াইটা সোজা হবে না। দল হিসেবে চিন খুব ভাল।’’ সঙ্গে নিজের রেকর্ড গড়ার সুযোগ নিয়ে তিনি যোগ করেন, ‘‘দেশের জার্সিতে ২৯ বছর খেলার পরে এ রকম রেকর্ড গড়ার সামনে থাকাটা দারুণ ব্যাপার। ভারতীয় দলে ফিরে এসে দুরন্ত লাগছে। তবে আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল, দলের জয়।’’
লিয়েন্ডার মনে করেন বোপান্নার প্রথমে না খেলতে চাওয়ার ব্যাপারটা সমস্যা তৈরি করবে না। ‘‘আমি সব সময় বিশ্বাস করে এসেছি রোহন ও আমার জুটিটা খুব ভাল। ওর শক্তি, আমার নিয়ন্ত্রণ। ওর শক্তিশালী সার্ভিস, আমার নেটে খেলার ক্ষমতা। সার্বিয়ার বিরুদ্ধে (২০১৪) আমরা টাইয়ে একাধিক গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী জুটির বিরুদ্ধে প্রথমে দু’সেটে পিছিয়ে গিয়েও ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম। পাঁচ সেটে সেই ম্যাচটা আমরা শেষ পর্যন্ত জিতেছিলাম। আমার কেরিয়ারের সেটা অন্যতম সেরা জয় ছিল।’’ ভারতের আরও একটা সমস্যা হল, চোটের জন্য ইউকি ভামব্রির না থাকা। তার অনুপস্থিতিতে সিঙ্গলসে রামকুমার রামনাথন এবং সুমিত নাগালকে দায়িত্ব সামলাতে হবে। তা ছাড়া, এই টাই আবার হবে নতুন ফর্ম্যাটে। পাঁচ সেটের বদলে এখন তিন সেটের লড়াই। তিন দিনের বদলে এ বার ডেভিস কাপ টাই শেষ হয়ে যাবে দু’দিনে।
লিয়েন্ডার বলছেন, ‘‘আমরা নিশ্চিত ভাবে ইউকির অভাব অনুভব করব। গত মাসে ও যে ভাবে মায়ামি মাস্টার্সের মূলপর্বে যোগ্যতা অর্জন করেছে, লুকাস পউলিকে হারিয়েছে সেটা দুরন্ত ছিল। কেরিয়ারের সম্ভবত সেরা টেনিস খেলছে এখন ইউকি।’’
কাগজে-কলমে ভারত এই টাইয়ে চিনের চেয়ে শক্তিশালী দল। রামকুমার (বিশ্ব র্যাঙ্কিং ১৩২), নাগাল (২১৩) চিনের সেরা দুই সিঙ্গলস খেলোয়াড়ের চেয়ে এগিয়ে আছেন বিশ্ব ক্রম পর্যায়ে। চিনের দুই খেলোয়াড় ঝি ঝ্যাং ও দি উ-এর বিশ্ব র্যাঙ্কিং যথাক্রমে ২৪৭ এবং ২৪৮। তবে আয়োজক দেশের শক্তিশালী অস্ত্র হয়ে উঠতে পারেন ইবিং উ। যাঁকে চিনের উঠতি তারকা হিসেবে ধরা হচ্ছে।