রঞ্জি সেমিফাইনালে ম্যাচ-জেতানো সেঞ্চুরি করলেন পূজারা। ফাইল ছবি।
অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজে যে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন, সেই মেজাজেই ঘরোয়া ক্রিকেটে দাপট দেখালেন চেতেশ্বর পূজারা। সোমবার বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে কর্নাটকের বিরুদ্ধে তাঁর অপরাজিত ১৩১ রানের ইনিংসই রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে তুলল সৌরাষ্ট্রকে।
ফাইনালে ওঠার জন্য চতুর্থ ইনিংসে সৌরাষ্ট্রের দরকার ছিল ২৭৯ রান। যা সোমবার, ম্যাচের পঞ্চম দিনে পাঁচ উইকেট হারিয়ে তুলে ফেলল সৌরাষ্ট্র (২৮২/৫)। এদিন সকালে তিন উইকেটে ২২৪ নিয়ে শুরু করেছিল তারা। ক্রিজে পূজারার সঙ্গে ছিলেন শেল্ডন জ্যাকসন। পূজারা ও জ্যাকসন অপরাজিত ছিলেন যথাক্রমে ১০৮ ও ৯০ রানে।
প্রয়োজনীয় ৫৫ রান তুলতে ১৭.৪ ওভারের বেশি লাগেনি সৌরাষ্ট্রের। শেল্ডন ফিরলেন ১০০ রানে। অর্পিত ভাসাভাদাও (১২) ফেরার পর প্রেরক মানকড়কে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন পূজারা। চার নম্বরে নেমে ২৬৬ বলে তিনি অপরাজিত থাকেন ১৩১ রানে। মারেন ১৭ বাউন্ডারি।
আরও পড়ুন: আউট শিখর, পঞ্চাশ পেরিয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া
আরও পড়ুন: শরীর ছুড়ে অসাধারণ ক্যাচ হার্দিকের, দেখুন ভিডিয়ো
তিনি যখন ক্রিজে এসেছিলেন, তখন ৩ রানে দুই উইকেট পড়ে গিয়েছিল সৌরাষ্ট্রের। ২৩ রানে পড়ে যায় তিন উইকেট। সেখান থেকে শেল্ডনের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ২১৪ রান যোগ করেন পূজারা। যা ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দেয়। রঞ্জি ফাইনালে সৌরাষ্ট্রের সামনে বিদর্ভ। সেখানে উমেশ যাদবের সঙ্গে পূজারার লড়াই হয়তো ঠিক করে দেবে ম্যাচের ফলাফল।
পূজারার কাছে এই ইনিংসের অবশ্য অন্য তাৎপর্য রয়েছে। প্রথম ইনিংসে কর্নাটকের অভিমন্যু মিঠুনের বলে খোঁচা দিয়েও বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি। আম্পায়ার আঙুল তোলেননি। কিন্তু নিজে থেকে ক্রিজ ছেড়ে না বেরিয়ে যাওযায় সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবল সমালোচিত হন পূজারা। তাঁর ‘স্পোর্টসম্যান স্পিরিট’ নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। এমনকী, রবিবার খেলা শেষের সময় গ্যালারি থেকে তাঁর উদ্দেশে ‘চিটার, চিটার’ ধ্বনিও ভেসে আসে। কিন্তু কোনও কিছুই তাঁর ফোকাস নড়াতে পারেনি। সৌরাষ্ট্রকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দিলেন তিনি অবিচল ভঙ্গিতে।
(আইসিসি বিশ্বকাপ হোক বা আইপিএল, টেস্ট ক্রিকেট, ওয়ান ডে কিংবা টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেট খেলার সব আপডেট আমাদের খেলা বিভাগে।)