ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের গোলে জিতল টটেনহ্যাম। ছবি রয়টার্স।
ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের ৮৮ মিনিটে করা গোলের সৌজন্যে ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়নের বিরুদ্ধে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে পুরো পয়েন্ট তুলতে পারল টটেনহ্যাম। সেই সঙ্গে ইপিএলে স্পার্সের প্রথম চারে শেষ করাও কার্যত নিশ্চিত হয়ে গেল। সে ক্ষেত্রে পরের বার তাদের সরাসরি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা আটকাবে না।
মঙ্গলবার টটেনহ্যামের নতুন স্টেডিয়ামে ব্রাইটন যে ভাবে প্রায় খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ গড়েছিল, তাতে অনেকেই অঘটনের আশঙ্কা করেছিলেন। সত্যি সত্যিই এই ম্যাচ থেকে পয়েন্ট পেলে ব্রাইটনের অবনমন বাঁচানোর লড়াইটা অনেক সহজ হয়ে যেত। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেটা হল না। ৮৮ মিনিটে পেনাল্টি বক্সের ঠিক বাইরে থেকে ডেনমার্কের ফুটবলার এরিকসেনের নিচু শটে গোল হতে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে স্পার্স।
ক্রিস হাউটনের ব্রাইটন মঙ্গলবার প্রথম থেকেই নিজেদের পেনাল্টি বক্সের বাইরে কার্যত প্রাচীর তৈরি করে রেখেছিল। সারা ম্যাচে যে ২৯ বার স্পার্স বিপক্ষ গোল লক্ষ করে শট নিয়েছে, তার একুশটিই বক্সের বাইরে থেকে মারা। যে কারণে টটেনহ্যামের পক্ষে গোল করা সত্যি কঠিন হয়ে পড়ে। তবু এরিকসেনের গোলের আগে টটেনহ্যামের ডিফেন্ডার তোবি আলদাভেয়াল্ডের একটা শট পোস্টের ভিতরের দিকে লেগে বেরিয়ে আসে। গোলের জন্য মরিয়া টটেনহ্যাম ম্যানেজার মাউরিসিয়ো পোচেতিনো খেলার ৮০ মিনিটের মাথায় নামিয়ে দেন ডাচ স্ট্রাইকার ভিনসেন্ট ইয়াজেনকে। যিনি এর আগে প্রিমিয়ার লিগে এ’মরসুমে একটিও ম্যাচ খেলেননি।
সব প্রতিযোগিতা ধরলে নিজেদের নতুন স্টেডিয়ামে টটেনহ্যাম চারটি ম্যাচ খেলে তার সব ক’টি জিতল। আর মঙ্গলবারের জয়ে চেলসির থেকে তারা এগিয়ে গেল তিন পয়েন্ট। সঙ্গে চার পয়েন্টের ব্যবধান তৈরি করল আর্সেনালের সঙ্গে। টটেনহ্যামের পয়েন্ট ৩৫ ম্যাচে ৭০। সমসংখ্যক ম্যাচে চেলসির ৬৭।