হাড্ডাহাড্ডি জয়গুলো কলকাতাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করছে

আইপিএল শুরু হয়েছে মাসখানেক হয়ে গেল। আর পয়েন্ট টেবলটাও আস্তে আস্তে একটা চেহারা নিচ্ছে। তবে সেটা যত না টিমগুলোর কাগজে-কলমে শক্তির বিচারে, তার চেয়ে অনেক বেশি মাঠে তাদের খেলা অনুযায়ী।

Advertisement

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৬ ০৪:১৬
Share:

আইপিএল শুরু হয়েছে মাসখানেক হয়ে গেল। আর পয়েন্ট টেবলটাও আস্তে আস্তে একটা চেহারা নিচ্ছে। তবে সেটা যত না টিমগুলোর কাগজে-কলমে শক্তির বিচারে, তার চেয়ে অনেক বেশি মাঠে তাদের খেলা অনুযায়ী। যেটা কৌতূহলের, দু’টো টিমেই বিশ্বক্রিকেটের কয়েকজন করে দুর্দান্ত পারফর্মার থাকা সত্ত্বেও পুণে আর বেঙ্গালুরু নিজেদের সুনামের প্রতি সুবিচার করতে পারছে না।

Advertisement

কলকাতাকে এখনও সেরা টিম দেখাচ্ছে। ওরা দু’টো-একটা হারলেও কিন্তু আবার দারুণ ভাবে ফিরেও এসেছে। বেঙ্গালুরু আর পঞ্জাবের সঙ্গে ম্যাচ দু’টোই বুঝিয়ে দিয়েছে বাকিদের সঙ্গে কলকাতা কোথায় আলাদা। ওদের টিমে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার রয়েছে যারা বেশ কয়েক বছর এই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলছে। টিমের সমস্যায় একে অন্যকে আত্মবিশ্বাস জোগানোর ব্যাপারে যেটা কাজ দিচ্ছে। ওদের ওই হাড্ডাহাড্ডি জয়গুলোর প্রভাব সুদূরপ্রসারী হবে। যা ছেলেদের এই বিশ্বাসকে আরও মজবুত করবে— কোনও ম্যাচই শেষ বল না হওয়া পর্যন্ত শেষ হয় না। রাসেল প্রচুর উন্নতি করেছে। এতটাই যে, ওরা নারিনকে বিশ্রাম দিলেও রাসেলের দাপটে সেটা বোঝা যাচ্ছে না। বেঙ্গালুরু ম্যাচে ওর বিগ হিটিং আর তার পরে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে করা শেষ ওভার বুঝিয়ে দিয়েছে, এই মুহূর্তে রাসেল টিমের পক্ষে কতটা গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার।

বেঙ্গালুরুকে একাধিক ম্যাচে ডুবিয়‌েছে ওদের বোলিং। জেতা ম্যাচ হেরেছে ওরা। যেটা একটা টিমের কাছে ভীষণই হতাশার। এই রকম হারের পর যে কারও পক্ষেই উঠে দাঁড়ানোটা কঠিন। আর কলকাতার কাছে হারের পর বেঙ্গালুরুর কয়েকজনের মাঠে মাথা হেঁট করে দাঁড়িয়ে থাকার মধ্যেই পরিষ্কার— ওরা বুঝতে পারছিল, এটা ওদের ম্যাচ, যেটা বিপক্ষ কেড়ে নিয়ে চলে গিয়েছে।

Advertisement

পুণে আবার টুর্নামেন্টে কোনও সময়ে ছন্দে আসতে পারছে না। সবার উপরে টিমে টানা চোটআঘাতে ওদের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ারকে হারাতে হয়েছে। যেটা অবশ্যই পুণের কাছে একটা ধাক্কা।

দিল্লি ‘স্বাধীনতার প্রকাশ’ ঘটিয়ে টানা উন্নতি করে চলেছে। ওটাই যেন ওদের টিমের মানসিকতা। এ বছর সত্যিই ওদের একটা আলাদা টিম দেখাচ্ছে। বর্ষীয়ান জাহির খান চমৎকার নেতৃত্ব দিচ্ছে দলটাকে। যেটা দেখতে যে কী ভাল লাগছে! বল হাতে প্রতিটা ম্যাচে জাহির ওর কাযর্কারিতার প্রমাণ রেখে চলেছে। যেটা ওর ঘাড়ে নেতৃত্বের দায়িত্ব রয়েছে সেটাই কেবল বোঝাচ্ছে না, এটাও ফের প্রমাণ করছে— প্লেয়ারের ক্লাস চিরকালের।

জাহির আর আশিস নেহরা টি-টোয়েন্টি তত্ত্বে একটা নতুন দিক খুলে দিয়েছে যে, এটা শুধু তরুণদেরই খেলা নয়! দিল্লিকে সুখী পরিবার দেখাচ্ছে, তবে টুর্নামেন্ট যত বিজনেস এন্ডের দিকে এগোবে ওরা কড়া পরীক্ষায় পড়বে। বিশেষ করে যখন টুর্নামেন্টের শেষের দিকে শুধু বাইশ গজই নয়, মানসিক ভাবেও পরিস্থিতি কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

মুম্বই এই মুহূর্তে প্রথম চারে আছে আর ওদের টিমকে ভাল দেখাতে শুরু করেছে। রোহিত শর্মার লি়ডারশিপ স্কিল ফুটে বেরোচ্ছে। আর আমার মতে ওদের টিমের নীচের দিকে খুব গুরুত্বপূর্ণ পাঞ্চটা দিচ্ছে বাটলার এবং পোলার্ড ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement