১৫ বছরেও স্টেডিয়াম তৈরি হল না

সংস্থার কোষাধ্যক্ষ অশোক জানা বলেন, “জলাশয়-সহ আরও দেড় একর জমি কেনার পরিকল্পনা রয়েছে। ভবিষ্যতে জলাশয়ে সুইমিং পুল, মাঠের পাশে দৌড়নোর জন্য ১০টি ট্র্যাক এবং জিম তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। আর্থিক সমস্যার কারণে কাজ থমকে আছে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৭ ০৩:৫০
Share:

অসম্পূর্ণ: এই মাঠেই গড়ে ওঠার কথা স্টেডিয়াম। —নিজস্ব চিত্র।

১৫ বছরেও গড়ে উঠল না এগরা ক্ষুদিরাম ক্রীড়াঙ্গন। ছ’কোটি টাকার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু হয়েছিল ২০০২ সালে। আর্থিক অনটনে স্টেডিয়াম তৈরির কাজ থমকে গিয়েছে। নতুন মহকুমা হওয়ার পর সরকারের কাছে আবেদন করেও সাহায্য মেলেনি। হতাশ মহকুমাবাসী। ২০০২ সালে কাঁথি মহকুমা ভেঙে তৈরি হয় এগরা মহকুমা। এগরা-১, এগরা-২, পটাশপুর-১, পটাশপুর-২ ও ভগবানপুর-১ ব্লক নিয়ে গড়ে ওঠে মহকুমা। তখনই এগরা মহকুমা ক্রীড়াসংস্থাটিও তৈরি হয়। সংস্থার উদ্যোগে মহকুমায় একটি স্টেডিয়াম করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। প্রথমেই স্টেডিয়াম তৈরির জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় পটাশপুর-২ ব্লকের খাড় জনকল্যাণ সর্বার্থ সাধন সমবায় সমিতি। স্টেডিয়াম তৈরির জন্য এগরা-বাজকুল রাস্তার ধারে তারা ৪.৪ একর জমি দান করে মহকুমা ক্রীড়া সংস্থাকে। তৎকালীন সাংসদ প্রবোধ পাণ্ডার ১০ লক্ষ টাকা সাহায্যের ফলে কিছু জমি কিনে মোট ৫.৫ একর জমি অধিগ্রহণ করে মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা। জেলা পরিষদের দু’লক্ষ টাকা এবং এলাকার ব্যবসায়ী, ক্রীড়াপ্রেমী, শুভাকাঙ্ক্ষী মানুষের আর্থিক সহায়তায় জমিতে মাটি ফেলে সমতল করে একটি খেলার মাঠ তৈরি হয়েছে। বর্তমানে এই মাঠে মহকুমার বিভিন্ন ফুটবল, ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়। কোনও ছাউনি না-থাকায় রোদে-জলে অসুবিধায় পড়েন খেলোয়াড়েরা। চার পাশের জমিতে আরও মাটি ফেলে সমতল করে ঘাস লাগানো এবং মাঠটির সীমানা পাঁচিল দেওয়ার কাজ বাকি রয়েছে।

Advertisement

মাঠের পাশে একটি বড় জলাশয় রয়েছে। সংস্থার কোষাধ্যক্ষ অশোক জানা বলেন, “জলাশয়-সহ আরও দেড় একর জমি কেনার পরিকল্পনা রয়েছে। ভবিষ্যতে জলাশয়ে সুইমিং পুল, মাঠের পাশে দৌড়নোর জন্য ১০টি ট্র্যাক এবং জিম তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। আর্থিক সমস্যার কারণে কাজ থমকে আছে।”

মহকুমা ক্রীড়াসংস্থার সম্পাদক কল্যাণ দাস অভিযোগ করেন, “জেলা যুব কল্যাণ দফতর থেকে কোনও খেলার সরঞ্জাম আমরা পাই না। সরকারের কাছে স্টেডিয়ামটি সম্পূর্ণ করার জন্য সাহায্য চেয়ে আবেদন করেও কোনও সাড়া মেলেনি। মাঠের কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য এলাকার বিধায়ক, সাংসদ ও ক্রীড়াপ্রমী মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন, স্টেডিয়ামটি সম্পূর্ণ করার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।” তবে মাঠের চারপাশে মাটি ফেলা ও নিকাশি ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন