জিতে ফের চনমনে মেজাজে কন্তে

ঘরের মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ৩০ ডিসেম্বর শেষ ম্যাচ জিতেছিল চেলসি। সোমবার রাতে ফের ঘরের মাঠে জিতে নিজের পদ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী চেলসি ম্যানেজার আন্তোনিও কন্তে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:৩৩
Share:

আত্মবিশ্বাসী চেলসি ম্যানেজার আন্তোনিও কন্তে।

পরপর দুই ম্যাচে বোর্নমুথ এবং ওয়াটফোর্ড-এর কাছে হেরে চেলসি কর্তাদের রোষের মুখে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু সোমবার রাতে ওয়েস্ট ব্রমউইচ-এর বিরুদ্ধে ৩-০ জিততেই পাল্টে গেল ছবিটা। যার ফলে, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ২৭ ম্যাচের পরে ৫৩ পয়েন্ট সংগ্রহ করে ফের লিগ টেবলে চতুর্থ স্থানে উঠে এল চেলসি।

Advertisement

ঘরের মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ৩০ ডিসেম্বর শেষ ম্যাচ জিতেছিল চেলসি। সোমবার রাতে ফের ঘরের মাঠে জিতে নিজের পদ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী চেলসি ম্যানেজার আন্তোনিও কন্তে। ইতালিয়ান কোচ বলেই দিচ্ছেন, ‘‘এই জয়টা খুব দরকার ছিল। কারণ আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়ায় মাঠে নেমে অনেক সহজ কাজও কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছিল।’’ সঙ্গে জুড়ে দেন।, ‘‘এ বার আরও কঠিন পরীক্ষা সামনে। প্রথমে এফএ কাপে হাল সিটি। তার পরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সামলাতে হবে বার্সেলোনাকে। তার পরে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড এবং ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ম্যাচ। এই জয় বাকি ম্যাচগুলোর আগে অনেকটাই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে।’’

দিন কয়েক আগেও চেলসি ও তার সমর্থকদের সঙ্গে ক্লাবের সম্পর্ক ঠিকঠাক যাচ্ছিল না। কিন্তু ওয়েস্ট ব্রমউইচ-এর বিরুদ্ধে ম্যাচ চলাকালীন সারাক্ষণ চেলসি সমর্থকরা কন্তের নামে স্লোগান দিয়ে গিয়েছেন। যা দেখে আপ্লুত কন্তে বলছেন, ‘‘এটা দেখে ভাল লাগছে, যে সমর্থকরা আমাদের পাশে রয়েছেন। গুজবে কান দেননি। সবাইকে বুঝতে হবে, চেলসির হয়ে আমরা নিজেদের সেরাটাই দিই। তাতে কোনও দিন সফল হই। কোনও দিন হই না। কিন্তু চেষ্টার খামতি থাকে না। আর এই চাপ মরসুমের শেষ দিন পর্যন্ত নিতে আমি উপভোগ করব।’’

Advertisement

ওয়েস্ট ব্রমউইচ-এর বিরুদ্ধে ৩-০ জয়ের ম্যাচে চেলসির হয়ে দুই অর্ধে জোড়া গোল করে নায়ক এডেন অ্যাজার। অপর গোলদাতা ভিক্টর মোজেস। আর্সেনাল থেকে আসার পরে এ দিন চেলসির হয়ে ঘরের মাঠে প্রথম বার নামলেন ফরাসি তারকা অলিভার জিহু। তাঁর পাস থেকেই চেলসিকে এগিয়ে দেন এডেন অ্যাজার। গোটা ম্যাচেও দেখা গিয়েছে, অ্যাজারের সঙ্গে জিহুর যুগলবন্দি সমস্যায় ফেলছে বিপক্ষ ডিফেন্ডারদের। যা দেখে ম্যাচের শেষে চেলসি ম্যানেজার কন্তেও বলে যান, ‘‘জিহু-র পারফরম্যান্স স্বস্তি দিচ্ছে। এই প্রথম ঘরের মাঠে খেলতে নেমেছিল। অনেক উন্নতি করতে হবে ওকে। কিন্তু আমরা যে ফুটবলটা খেলতে চাইছি, তার সঙ্গে ও ঠিক খাপ খেয়ে যায়।’’ মাথায় ব্যান্ডেজ বেঁধে এই ম্যাচে খেলছিলেন জিহু। কিন্তু ৬১ মিনিটে ফের গোড়ালিতে চোট পাওয়ায় তাঁকে তুলে নিয়ে আলভারো মোরাতা-কে নামান কন্তে। মোরাতাও বেশ কয়েক দিন পিঠের ব্যথায় কাবু হয়ে ছন্দে ছিলেন না। মোরাতা সম্পর্কে কন্তে বলেন, ‘‘জিহুর সঙ্গে মোরাতা-কে পাওয়াটাও একটা বড় প্রাপ্তি। শেষ তিরিশ মিনিট চোখে পড়ার মতো খেলল মোরাতা। সামনে একটা কঠিন সপ্তাহ আসছে। তার আগে দলের এই ফর্ম ভরসা দেবে গোটা দলকে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন