রিওতে নেই পোকেমন গো।
অলিম্পিক্স ভিলেজে ঠিকঠাক আলো জ্বলছে না। বাথরুমের কলেও নানা সমস্যা। তা মেটাতে সংগঠকদের ‘অনন্ত কাল’ সময় লাগছে বলে অভিযোগ। চলতি অলিম্পিক্সের আগেই জিকা ভাইরাস, দূষণ থেকে শুরু করে পরিকাঠামোগত বা নিরাপত্তাজনিত নানা সমস্যায় জর্জরিত ব্রাজিল সরকার। কিন্তু, সে সব সমস্যা নিয়ে মাথা ঘামানোর চেয়ে পোকেমন গো-এর অভাবেই বেশি মুষড়ে পড়েছেন প্রতিযোগীরা।
গত জুলাইতে আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া-সহ বিশ্বের ৩০টি দেশে ‘পোকেমন গো’ বাজারে এনেছে গুগ্লের সহযোগী সংস্থা নিয়ানটিক। এক বার মোবাইলে এই গেম ডাউনলোড করলেই কেল্লাফতে। বাস্তব আর ভার্চুয়াল জগতের মিশেলে তৈরি এই গেমে ফোনের মাধ্যমেই পোকেমন ধরতে হয়। বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সাড়া ফেলে দিয়েছে এই গেম। পোকেমন ধরার নেশায় মেতেছে আট থেকে আশি সকলেই। ব্যতিক্রম নন অলিম্পিক্সে আসা খেলোয়াড়রাও। তবে ব্রাজিলে এখনও হাজির হয়নি পোকেমন। নিউজিল্যান্ডের মহিলা ফুটবলার অ্যানা গ্রিনের আক্ষেপ, “ইস! অলিম্পিক্স ভিলেজে যদি পোকেমন ধরে বেড়াতে পারতাম তবে বেশ মজা হত।” ‘পোকেমন গো’ ছাড়া মন ভাল নেই ব্রিটিশ বাইচ প্রতিযোগী জো ক্লার্কের। টুইটে একটা ‘দুঃখী’ মুখের ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি। যাঁরা পোকোস্টপ ডাউনলোড করেছিলেন রিওতে, তাঁরা মোবাইলে ডিজিটাল ম্যাপ দেখতে পারলেও ‘পোকেমন গো’ খেলতে পারবেন না।
তবে কয়েক জন খেলোয়়াড় আবার ‘পোকেমন গো’ নিয়ে বেশি মাথা ঘামাতে রাজি নন। কানাডার হকি খেলোয়াড় ম্যাথু সারমেন্টো জানিয়েছেন, ‘পোকেমন গো’র অভাব বোধ করলেও এতে শাপে বরই হয়েছে। গেমস ভিলেজের অন্য খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলাপ করার জন্য আরও একটি বেশি সময় পাওয়া যাবে।
আগামী শুক্রবার শুরু হচ্ছে অলিম্পিক্স। তার আগেই রিও কর্তৃপক্ষ অবশ্য পোকেমনকে রিও অলিম্পিক্সে আনার চেষ্টা শুরু করে দিয়েছেন। মেয়র এদুয়ার্দো পেজ জানিয়েছেন, আগামী রবিবার ব্রাজিলে ‘পোকেমন গো’ রিলিজের জন্য নিয়ানটিককে অনুরোধ করা হয়েছে। ফেসবুকে এ নিয়ে সংস্থার কাছে আর্জিও জানিয়েছেন তিনি। তবে এখনও পর্যন্ত তা নিয়ে কোনও ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। তা সত্ত্বেও হাল ছাড়েননি তিনি। তবে কি আগামী সপ্তাহেই রিওতে দেখা যাবে পিকাচু-চারম্যান্ডারদের? অপেক্ষায় ব্রাজিল!
আরও দেখুন
১৫ বছরের বেশি বিশ্ব রেকর্ডগুলো কি এ বারের অলিম্পিক্সে ভাঙবে?