হকির দলবদল ঘিরে বিতর্কে বিএইচএ সচিব

এত দিন পর্যন্ত কলকাতা হকি লিগের জন্য দলবদল হত ১-১৫ নভেম্বর। তার পরে ডিসেম্বর থেকে অনুশীলনের পরে হকি লিগ শুরু হত জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ কিংবা ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৮ ০৫:২০
Share:

২০১৮-১৯ মরসুমে হকির দলবদল হবে জানুয়ারি মাসে। —ফাইল চিত্র।

বঙ্গ হকির দুরবস্থা ক্রমেই বাড়ছে। ঐতিহ্যবাহী বেটন কাপ গত বছর অনুষ্ঠিত হয়নি। এ বারও কবে হবে কেউ জানে না। এরই মাঝে আসন্ন হকি মরসুমের দলবদল নভেম্বর মাসের পরিবর্তে জানুয়ারি মাসে সরিয়ে দিয়েছে বঙ্গ হকির নিয়ামক সংস্থা বেঙ্গল হকি অ্যাসোসিয়েশন (বিএইচএ)। সোমবার সংস্থার চিঠি পাওয়ার পরে মাথায় হাত ক্লাবগুলোর কর্তাদের।

Advertisement

এত দিন পর্যন্ত কলকাতা হকি লিগের জন্য দলবদল হত ১-১৫ নভেম্বর। তার পরে ডিসেম্বর থেকে অনুশীলনের পরে হকি লিগ শুরু হত জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ কিংবা ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে। কিন্তু ২৯ অক্টোবর বিএইচএ-র তরফে চিঠি (আনন্দবাজারের হাতেও এসেছে সেই চিঠি) দিয়ে সচিব স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় অনুমোদিত ক্লাবগুলোকে জানিয়ে দিয়েছেন, ২০১৮-১৯ মরসুমে হকির দলবদল হবে জানুয়ারি মাসে। তবে সেই চিঠিতে দিনক্ষণ জানানো হয়নি।

দলবদল পিছোনোর এই নয়া নিয়মে ক্ষুব্ধ বেশির ভাগ ক্লাব। সুপার লিগের দল এন্টালি এসি-র কর্তা সুবীরকুমার পান বলছেন, ‘‘জানুয়ারির কোন তারিখে দলবদল শুরু তা জানি না। জাতীয় হকির জন্য খেলোয়াড় পাব না সে সময়। ভিন রাজ্যের খেলোয়াড়রাও নভেম্বরে এখানে দলবদল হচ্ছে না শুনে অন্য কোনও রাজ্যে খেলতে চলে যাবেন। হকি লিগ পথে বসতে চলেছে।’’ সুপার লিগের আর এক দল সিইএসসি-র কোচ গুরজিৎ সিংহ বলছেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে ক্লাবগুলোর খরচ আরও বাড়বে। অনুশীলন করিয়ে প্রথম দল তৈরির যথেষ্ট সময়ও পাব না। পরিস্থিতি শোচনীয়।’’

Advertisement

মজার ব্যাপার এটাই, বিএইচএ সচিবকে এ দিন ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বললেন, ‘‘গত কয়েক দিন খুব ব্যস্ত ছিলাম। ওই চিঠি দিয়েছেন যুগ্ম সচিব ইশতিয়াক আলি। বুধবারই এই বিষয় নিয়ে ক্লাবগুলোর বৈঠক ডাকছি।’’

তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, তা হলে চিঠির তলায় তাঁর সই এল কী ভাবে? ৭-২০ জানুয়ারি সিনিয়র হকি প্রতিযোগিতা হবে। একই সময় চলবে জুনিয়রদের জাতীয় হকি। তা হলে দলবদলই বা কবে হবে? আর ক্লাবগুলো জানুয়ারি মাসে খেলোয়াড় পাবে কোথায়?

জবাবে আমতা আমতা করে ফোন কেটে দেন সচিব। যুগ্ম সচিব ইশতিয়াক আলিকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি আবার বলছেন, ‘‘ওই চিঠির তলায় তো সচিবের সই রয়েছে। আমি চিঠি পাঠিয়েছি এ কথা কী ভাবে বলেন সচিব? আমি তো যুগ্ম সচিব পদ অনেক দিন আগেই ছেড়ে দিয়েছি।’’

দলবদল পিছোনো নিয়ে সচিবের ভূমিকায় ক্ষোভের উত্তাপ চড়ছে বিএইচএ-তে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন