গরমে দশ বার জামা বদল, বিতর্ক যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৩২
Share:

দর্শক যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে।ছবি এএফপি।

এ রকম কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যামে আগে কবে দেখা গেছে মনে করা যাচ্ছে না। নোভাক জোকোভিচ বনাম জন মিলম্যানের কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ের মাঝেই যা ঘটল।

Advertisement

দ্বিতীয় সেট চলার সময় হঠাৎই জোকোভিচের প্রতিদ্বন্দ্বী খেলা থামিয়ে দেন। চেয়ার আম্পায়ারকে অনুরোধ করেন, পোশাক পাল্টানোর জন্য। কারণ, আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে প্রচণ্ড গরমে তিনি এতটাই ঘামছিলেন যে কোর্টও পিচ্ছিল হয়ে যাচ্ছিল। যে কোনও সময় পা পিছলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা এড়াতেই এই অনুরোধ করেন মিলম্যান। চেয়ার আম্পায়ার তাঁর অনুরোধ রাখেন। আপত্তি করেননি জোকোভিচও। তাঁর নিজেরও তো কম অস্বস্তি হচ্ছিল না এমন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে। পরে জোকোভিচ বলেন, ‘‘এমন গরমে আমারও সমস্যা হচ্ছে, মিলম্যানেরও হচ্ছে। ও ক্ষমা চাইল, ম্যাচের মধ্যেই পোশাক পাল্টাতে যেতে হওয়ায়। আমি বললাম, ঠিক আছে তুমি যেতে পার। আমি ততক্ষণ একটু জিরিয়ে নিই। আমারও তখন একটু বিশ্রাম দরকার ছিল।’’

তবে এখানেই বিতর্ক থামছে না। শেষ ষোলোয় মিলম্যানের কাছে হারার পরে রজার ফেডেরার কোর্টের পরিবেশ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। ৩৭ বছর বয়সি সুইস তারকা গত পাঁচ বছরে এত আগে যুক্তরাষ্ট্র ওপেন থেকে বিদায় নেননি। ফেডেরারে বক্তব্য ছিল, আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে নতুন ছাদ বসানোর পরে সঠিক ভাবে হাওয়া চলাচল হচ্ছে না। ‘‘এই পরিবেশ প্রতিযোগিতাটাকে একেবারে অন্য রকম করে দিয়েছে। পোশাক ঘামে ভিজে উঠছে। কোর্টে খেলতে গিয়ে মনে হচ্ছে গতি কমে গিয়েছে। বলও ভিজে যাচ্ছে। উইনার মারতে গিয়ে মনে হচ্ছে সব কিছুই ধীর গতিতে হচ্ছে,’’ বলেছিলেন ফেডেরার।

Advertisement

একই সুর শোনা গেল জোকোভিচের মুখেও। তিনি বলেন, ‘‘দিনে খেলতে হোক বা রাতে, কোর্টে যথেষ্ট পরিমানে হাওয়া চলাচল হচ্ছে না। আমার এ রকম কখনও ঘাম হয় না। প্রত্যেকটা ম্যাচের জন্য অন্তত ১০টা করে জামা আনতে হচ্ছে তাই। দুটো গেমের পরেই ঘামে গা ভিজে যাচ্ছে। রজারকেও এখানকার মতো কখনও আগে ঘামতে দেখিনি। কোর্টে নামার পরে তো মনে হচ্ছে যেন সাওনা বাথ নিতে নেমেছি।’’

শুধু তাই নয়, বিতর্কে ঘি ঢেলেছেন প্রাক্তন মার্কিন তারকা জিম কুরিয়রও। একটি চ্যানেলে ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে কুরিয়র দাবি করেছেন, মার্কিন খেলোয়াড়দের সুবিধা দিতে কোর্টের গতিও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ, মার্কিন টেনিস সংস্থার কর্তাদের মনে হয়েছে, কোর্টের গতি কমলে সুবিধে হবে সে দেশের খেলোয়াড়দের। সঙ্গে প্রচণ্ড গরম এবং আর্দ্রতা ও নতুন ছাদ বসানো আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে হাওয়া চলাচলের সমস্যা পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তুলেছে খেলোয়াড়দের জন্য।

তা ছাড়া কোর্টের গতি কমিয়ে দেওয়ার জন্য আরও বেশি পরিশ্রম করতে হচ্ছে খেলোয়াড়দের প্রতিটা পয়েন্টে। আরও বেশি র‌্যালি হচ্ছে। দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন তাঁরা। মার্কিন টেনিস সংস্থার টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর ডেভিড ব্রিউয়ারও স্বীকার করে নিয়েছেন কোর্টের গতি কমিয়ে দেওয়ার কথা। তবে তাঁর বক্তব্য, গত বছর খেলোয়া়ড়রা জানিয়েছিল কোর্টের গতি খুব বেশি। তার পরেই তাঁরা এ রকম করেছেন।

কিন্তু তাঁর বক্তব্যের পরেও বিতর্ক থামছে কোথায়!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন