Coronavirus

কেপিকে বিরাট, জীবনেরই নাম টেস্ট ক্রিকেট

এত দিন আমরা এক জায়গায় এক সঙ্গে কখনও থাকিনি। এই ধরনের পরিস্থিতিতে ব্যাপারটা না ঘটলেই ভাল হত।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২০ ০৪:৩৩
Share:

বার্তা: ‘আমাদের হাসি নকল হলেও আমরা নই’, এ কথা লিখে টুইট বিরাটের।

এক দিকে কেভিন পিটারসেন। অন্য দিকে বিরাট কোহালি। বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রামে ভারত অধিনায়কের সাক্ষাৎকার নিলেন কেপি। কোহালিকে দেখেই যিনি বলে উঠলেন, ‘‘তোমার স্ত্রী তো তোমার চুল কেটে দিয়েছে। বেশ ভালই দেখাচ্ছে।’’ এর পরে শুরু হল কথোপকথন। কোহালি যা বললেন...

Advertisement

লকডাউনের অভিজ্ঞতা: লকডাউন শুরু হওয়ার আগে আমরা একটা ফার্মহাউসে চলে গিয়েছিলাম। চারদিকে যা ঘটছে, তা সত্যিই কষ্টকর।

অনুষ্কার সঙ্গে সময় কাটানো: এত দিন আমরা এক জায়গায় এক সঙ্গে কখনও থাকিনি। এই ধরনের পরিস্থিতিতে ব্যাপারটা না ঘটলেই ভাল হত। কিন্তু কী আর করা যাবে। খুব সতর্ক এবং ইতিবাচক থাকছি।

Advertisement

ভারতের পরিস্থিতি: করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে আমাদের প্রতিক্রিয়া খুব ভাল ছিল। তবে কিছু ব্যতিক্রম আছে, যাঁরা নিয়ম মানেননি। সে সব ভিডিয়ো নিশ্চয়ই তুমি দেখেছ। আমি জানি না লোকে কী ভাবে এ সব করতে পারে। ওদের বুঝতে হবে ঘটনার গুরুত্ব। নিয়ম মানতে হবে। সবাই মিলে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে।

আরসিবিতে খেলার অভিজ্ঞতা: আমার সামনে বড় সুযোগ ছিল শেখার। তুমি (কেপি) নিজের সেরা সময়ে আরসিবি-তে এসেছিলে। দলে জাক কালিস, রাহুল দ্রাবিড়, আরও কত কে ছিল। আমি ওদের কাছ থেকে শিখতে চেয়েছিলাম আর নিজের সেরাটা তুলে ধরতে চেয়েছিলাম। আমার কাছে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য ছিল, কী ভাবে দলকে জেতাব।

চিকু ডাক নাম কেন: রঞ্জি ট্রফির এক কোচ এই নামটা দিয়েছিলেন। আমার তখন গালদুটো খুব ফোলা, ফোলা ছিল। ২০০৭ সালে আমার মনে হয়েছিল, চুল পড়ে যাচ্ছে। তাই ছোট, ছোট করে চুল কাটি। তখন আমার গাল আর কান দুটো বেরিয়ে এসেছিল। একটা কার্টুন চরিত্র থেকে চিকু নামটা হয়। চম্পক কমিকের খরগোশ।

ভারতের জার্সিতে: ২০০৮ সালে আমি দেশের হয়ে খেলা শুরু করি। ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জিতি। ২০১২ সালে ইংল্যান্ডে এসেছিলাম, বিশ্রী ভাবে হেরে যাই। ওই বছর অস্ট্রেলিয়া সফরও কঠিন ছিল। সব দলই একটা পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায়। ভাগ্য ভাল, আমার বয়সি তখন অনেক ক্রিকেটার দলে ছিল।

অতিরিক্ত ক্রিকেট: আমি একটু বিশ্রাম নিয়ে খেলি। শেষ দু’-তিনটে মরসুমে তাই করেছি। তবে টেস্ট ক্রিকেটে সব সময় খেলতে চেয়েছি। মাঝে অনেক গুরুত্বহীন টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল। ন’বছর ধরে তিন ধরনের ক্রিকেট খেলেছি, যার মধ্যে ছ’বছর অধিনায়কত্ব করেছি। সোজা কাজ নয়। দু’-তিন বছর পরে হয়তো ঠিক করব, কোন ধরনের ক্রিকেট খেলব।

কোন ফর্ম্যাট পছন্দ: আমার কাছে টেস্ট ক্রিকেট হল জীবনের আর এক নাম। টেস্ট ক্রিকেট আমাকে আরও ভাল এক জন মানুষ বানিয়েছে।

সেরা ব্যাটিং-সঙ্গী: দু’জনের সঙ্গে আমি ব্যাট করা সব চেয়ে বেশি পছন্দ করি। আমি তাদেরই পছন্দ করি যারা উইকেটের মধ্যে খুব ভাল দৌড়য় আর আমার সঙ্গে বোঝাপড়া ভাল। তাই ভারতের হয়ে এম এস ধোনি। আর অন্য সময় এ বি ডিভিলিয়ার্স।

সব চেয়ে খারাপ সময়: ২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফর। এমন সময় আসে যখন ব্যাটসম্যান হিসেবে মনে হয় মাঠে নামলে ব্যর্থ হব। ওই সময় ঘুম থেকে উঠে মনে হত, ঠিক ব্যর্থ হব। খুব খারাপ সময় ছিল। প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, জীবনে আর ও রকম সময় আসতে দেব না। আমার মনে হয়, ব্যক্তিগত ভাবে ভাল করতে চেয়েছিলাম বলে ব্যর্থ হয়েছিলাম।

ক্রিকেটারদের সঙ্গে সম্পর্ক: আমি কোনও দিন এ বি ডিভিলিয়ার্সকে স্লেজ করব না। ওকে এত ভাল করে চিনি।

কেন নিরামিষাশী: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে টেস্ট সিরিজের আগে মাংস খাওয়া ছেড়ে দিই। ওই বছরে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে শিরদাঁড়ার সমস্যায় খুব ভুগেছিলাম। যন্ত্রণায় ঘুম হত না। শরীরে ইউরিক অ্যাসিড জমে যেত। হাড় দুর্বল হয়ে যাচ্ছিল। ইংল্যান্ড সফরের মাঝপথে মাংস খাওয়া ছেড়ে দিই। তার পরে আমার জীবনটাই বদলে যায়।

এর পরে ভক্তদের প্রশ্নের জবাবে যা, যা বললেন কোহালি: ‘‘মেসির চেয়ে বেশি পছন্দ রোনাল্ডো। কোনও দিন দাড়ি কাটব না, কারণ দাড়ি না থাকলে ভাল দেখায় না। সেরা ক্রিকেটীয় মুহূর্ত ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন