BCCI

আগরকরের দাবি মেনে নিল বোর্ড, বেতন বৃদ্ধির শর্তেই প্রধান নির্বাচক পদের জন্য আবেদন

এখন প্রধান নির্বাচক বেতন হিসাবে বছরে এক কোটি টাকা পান। এই টাকা উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন ক্রিকেটারের কাছেই যথেষ্ট আকর্ষণীয় নয়। আগরকরও এই বেতনে খুশি ছিলেন না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৩ ১৮:৪৫
Share:

অজিত আগরকর। —ফাইল চিত্র।

অধিকাংশ প্রাক্তন ক্রিকেটারই ভারতীয় দলের প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব নিতে চান না। তাঁদের অনাগ্রহের অন্যতম প্রধান কারণ প্রধান নির্বাচকের বেতন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বছরে এক কোটি টাকা বেতন হিসাবে দেয় প্রধান নির্বাচককে। কিন্তু ধারাভাষ্যকার হিসাবে কাজ করে বা অন্য কাজ করে অনেক বেশি আয় করেন প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা। তাই প্রধান নির্বাচকের বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড।

Advertisement

প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব নিতে প্রাক্তন ক্রিকেটারদের অনাগ্রহের কথা অজানা নয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাদের। চেতন শর্মা ইস্তফা দেওয়ার পর গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ফাঁকা রয়েছে প্রধান নির্বাচকের আসন। আগ্রহী প্রাক্তন ক্রিকেটারদের কাছে আবেদন পত্র চেয়েছিল বোর্ড। কিন্তু তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। বীরেন্দ্র সহবাগের মতো প্রাক্তনেরা প্রধান নির্বাচকের বেতন নিয়ে প্রকাশ্যেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রধান নির্বাচকের বেতন বৃদ্ধি করার কথা ভাবছেন বোর্ড কর্তারা।

বোর্ড সূত্রে খবর, ভারতীয় দলের প্রধান নির্বাচন হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন প্রাক্তন অলরাউন্ডার অজিত আগরকর। আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি দিল্লি ক্যাপিটালসের সহকারী কোচের পদে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পরই তিনি প্রধান নির্বাচক পদের জন্য আবেদন করেছেন। প্রধান নির্বাচক হতে চেয়ে কোনও উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন ক্রিকেটার আগ্রহ না দেখানোয় উদ্বিগ্ন ছিলেন বোর্ড কর্তারা। আগরকর এক বোর্ড কর্তাকে জানিয়েছিলেন, বেতন যথেষ্ট বৃদ্ধি করা হলে তিনি ভেবে দেখতে পারেন। পরে বোর্ডের তরফ থেকে নির্দিষ্ট আশ্বাস পাওয়ার পরেই তিনি প্রধান নির্বাচক পদের জন্য আবেদন করেছেন। তাঁকে বার্ষিক কত বেতন দেওয়া হবে, তা জানা যায়নি। তবে, জাতীয় নির্বাচকদের বেতন উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বোর্ড কর্তারা। বাকি যাঁরা আগ্রহ দেখিয়েছেন, তাঁদের কারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার তেমন অভিজ্ঞতা নেই। তাই তাঁদের প্রধান নির্বাচকের চেয়ারে বসাতে আগ্রহী নন বোর্ড কর্তাদের একাংশ।

Advertisement

জাতীয় নির্বাচক হিসাবে এখন রয়েছেন সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, সলিল আঙ্কোলা, শ্রীধরণ শরথ এবং শিবসুন্দর দাস। চেতনের ইস্তফার পর শিবসুন্দরকে অস্থায়ী প্রধান নির্বাচক করে কাজ চালানো হচ্ছে। বর্তমান জাতীয় নির্বাচক কমিটির সদস্যদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা নিয়ে সন্তুষ্ট নন বোর্ড কর্তাদের একাংশ। বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচক হিসাবে আবেদন করতে হলে সংশ্লিষ্ট প্রাক্তন ক্রিকেটারকে কমপক্ষে পাঁচ বছর আগে অবসর নিতে হয়। কমপক্ষে সাতটি টেস্ট ম্যাচ অথবা ৩০টি প্রথম শ্রেণির বা কমপক্ষে ১০টি এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ এবং ২০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এখন প্রধান নির্বাচক বাদে অন্য জাতীয় নির্বাচকেরা পান বছরে ৯০ লাখ টাকা বেতন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন