অনুশীলনে বল করছেন কম্বোজ। ছবি: পিটিআই।
রবিবার বৃষ্টির কারণে মাঠে অনুশীলন করা যায়নি। সোমবার প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে অনুশীলন করল ভারত। আপাতত যা অবস্থা, তাতে ম্যাঞ্চেস্টারে অভিষেক হতে পারে অংশুল কম্বোজের। হয়তো ঋষভ পন্থ উইকেটকিপিংও করবেন।
আকাশদীপের কুঁচকিতে চোট রয়েছে। বুড়ো আঙুলে চোটের জন্য অর্শদীপ সিংহ ছিটকে গিয়েছেন। নীতীশ রেড্ডিও নেই। ফলে সিরাজ এবং বুমরাহের পাশে তৃতীয় জোরে বোলার হিসাবে খেলার সম্ভাবনা কম্বোজের। কারণ প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ এমনিতেই দু’টি টেস্টে ছাপ ফেলতে পারেননি। তাঁর বোলিং ইংল্যান্ডের চেনা। সেখানে কম্বোজ আনকোরা। ইংল্যান্ডে কিছু দিন আগে ‘এ’ দলের হয়েও খেলেছেন। ফলে পরিবেশও জানেন। তাই ইংরেজদের চমকে দিতে তাঁকেই নামিয়ে দেওয়া হতে পারে।
এ দিন প্রায় ৪০ মিনিট টানা বল করেন তিনি। প্রথম বলের পরেই কেএল রাহুল বলেন, “দারুণ বল।” এর পর যশস্বী জয়সওয়ালকেও বল করেন কম্বোজ। তাঁর লেংথ খুবই ভাল ছিল। নিয়মিত গু়ড লেংথে বল রাখছিলেন। বহু বার তাঁর বল খেলতে পারেননি রাহুল এবং যশস্বী।
‘রেভস্পোর্টজ়’-এর খবর অনুযায়ী, আকাশ মূল নেটে বল করেননি। মর্নি মরকেলের অধীনে শরীরচর্চা করেছেন। মাঠের এক দিকে ১৫ মিনিট বল করলেও পুরোদমে নিজেকে উজাড় করতে পারেননি। সাজঘরে ফেরার সময় ধীরে ধীরে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে দেখা গিয়েছে। চতুর্থ টেস্টে তাঁর খেলার সম্ভাবনা কার্যত নেই।
বুমরা ১৫ মিনিট বল করেন। আউটফিল্ড স্যাঁতসেতে থাকায় তাঁর ‘ল্যান্ডিং’ নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। পরে ধারের দিকের একটি নেটে চলে গিয়ে একা একাই ৩০ মিনিট বল করেন। মরকেল পাশে ছিলেন।
সিরাজ নিজেকে উজাড় করে দেন ২০ মিনিট। একমাত্র বোলার হিসাবে তাঁকে পাঁচটি টেস্টেই খেলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই তাঁকে যাতে কম পরিশ্রম কমতে হয়, সে দিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।
‘রেভস্পোর্টজ়’ জানিয়েছে, উইকেটকিপিংয়ের সময় পন্থ অস্বস্তিতে রয়েছেন বলে মনে হয়নি। স্বাভাবিক ভাবেই কিপিং করেন। করুণ নায়ার, কেএল রাহুল এবং শুভমন গিল তিনটি স্লিপে এবং সাই সুদর্শন গালিতে ক্যাচ অনুশীলন করেন।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের পিচও এ দিন প্রকাশ্যে এসেছে। পিচে যথেষ্ট ঘাস রয়েছে। তবে আউটফিল্ড স্যাঁতসেঁতে। গত কয়েক দিন টানা বৃষ্টি হওয়ার কারণেই মাঠের এই অবস্থা। সে কথা মাথায় রেখেই দল সাজাতে হবে গম্ভীরকে। অনুশীলনের সময় গম্ভীর, শুভমন এবং প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকরকে দীর্ঘ ক্ষণ কথা বলতে দেখা গিয়েছে।
ম্যাঞ্চেস্টারের পিচ। ছবি: সমাজমাধ্যম।
ভারতের দলে একাধিক পরিবর্তনের সম্ভাবনা। করুণ নায়ারের সঙ্গেই কি দলে আসবেন সুদর্শন? শার্দূলকে রেখে কি এক স্পিনার খেলানো হবে? না কি সুযোগ পাবেন কুলদীপ যাদব? কম্বোজ এবং প্রসিদ্ধের মধ্যে কে খেলবেন? আপাতত এই উত্তর অজানাই।