ICC ODI World Cup 2023

বিশ্বকাপ জিতে উঠে তুরীয় মেজাজ মিচেল মার্শের, সদ্য-জেতা ট্রফিকেই পাদানি হিসাবে ব্যবহার করলেন!

ষষ্ঠ বারের জন্য বিশ্বকাপ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ভারতকে হারিয়েছেন প্যাট কামিন্সেরা। কিন্তু ট্রফি জেতার পরেই ট্রফির উপর পা তুলে ছবি তোলায় সমালোচনা শুরু হয়েছে মিচেল মার্শকে নিয়ে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৩ ১১:৫৮
Share:

বিশ্বকাপ জিতে এ ভাবেই বসে থাকতে দেখা গিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মিচেল মার্শকে। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

বিশ্বকাপ জিতে কি বিশ্বকাপ ট্রফির মর্যাদাটাই ভুলে গেলেন মিচেল মার্শ? যে ট্রফি এক বার হাতে তোলার জন্য সারাটা জীবন অপেক্ষা করে থাকেন খেলোয়াড়েরা, সেই ট্রফির উপর দিব্যি দু’পা তুলে ছবি তুললেন তিনি। আর সেটাও ফলাও করে দেখালেন দলের অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। এই ঘটনায় শুরু হয়েছে সমালোচনা। মার্শের উল্লাসের ধরনটাই বুঝতে পারছেন না কেউ। কেন এমনটা করলেন তিনি? উঠছে প্রশ্ন।

Advertisement

বিশ্বকাপ জেতার পরে দলের উল্লাসের বেশ কয়েকটি ছবি নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দেন কামিন্স। সেখানেই একটি ছবিতে দেখা যায়, তুরীয় মেজাজে দু’টি পা ট্রফির উপর তুলে হাসিমুখে বসে রয়েছেন মার্শ। হাতে রয়েছে পানীয়ের বোতল। বাঁ হাত মুষ্টিবদ্ধ। ভাবখানা এমন, কেমন দিলাম! এই ছবি নিয়েই শুরু হয়েছে সমালোচনা।

এ ভাবেই ট্রফির উপর দু’পা তুলে ছবি দেন মিচেল মার্শ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

সাধারণত বিশ্বকাপ জেতার পরে ট্রফিতে চুমু খেতে দেখা যায় খেলোয়াড়দের। সেটা যে খেলাই হোক না কেন, ট্রফির প্রতি একটা আলাদা আবেগ, আলাদা মর্যাদা থাকে। ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ জেতার পরে ট্রফিকে বুকে জড়িয়ে ঘুমিয়েছিলেন লিয়োনেল মেসি। কাছছাড়া করতে চাননি। সেই ট্রফির উপর দু’পা তুলে কি মার্শ বোঝাতে চাইলেন, বিশ্বকাপ জেতাটা জলভাত হয়ে গিয়েছে। তাই আর আলাদা কোনও আবেগ কাজ করে না তাঁর। মার্শের এই কাজের পরে সমাজমাধ্যমে তাঁর সমালোচনা শুরু হয়েছে।

Advertisement

মার্শের এই ধরনের আচরণ বা কথাবার্তা অবশ্য নতুন নয়। বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, ফাইনালে ভারতকে গুঁড়িয়ে দেবেন। তাঁরা প্রথমে ব্যাট করে ৪২০ রান করবেন। তার পর ভারতকে ৬৫ রানে অল আউট করে দেবেন। ভারতকে হয়তো হারিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু যে দল এত ভাল খেলছে তাদের বিরুদ্ধে এই ধরনের কথার মানেও কি অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস নয়! দলের বাকিদের থেকে কি আলাদা মার্শ! যেখানে বিশ্বকাপ জিতে কামিন্স, লাবুশেন, স্মিথেরা আবেগে ভাসছেন, সেখানে মার্শ যেন রয়েছেন অন্য জগতে। তুরীয় মেজাজে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement