সূর্যকুমার যাদব। —ফাইল চিত্র।
শাস্তি খুব বড় নয়। কিন্তু সূর্যকুমার যাদবের ম্যাচ পারিশ্রমিকের ৩০ শতাংশ জরিমানার সাজাও মানতে পারছে না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, অধিনায়কের এই শাস্তির বিরুদ্ধে আবেদন করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
বোঝাই যাচ্ছে, শাস্তি ছোট, না বড়, সেটা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। বিসিসিআই-এর কাছে এটা মর্যাদার লড়াই। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কাছে সেই মর্যাদার লড়াইয়ে এক চুলও জমি ছাড়তে নারাজ ভারতীয় বোর্ড। তাই সূর্যের ১০ শতাংশ জরিমানা হলেও বিসিসিআই তা মকুবের আর্জি জানাত।
গ্রুপ পর্বের ম্যাচের পর পহেলগাঁওয়ের ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করার জন্য সূর্যের বিরুদ্ধে পাকিস্তান অভিযোগ করেছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে আইসিসি প্রথমে সূর্যকে সতর্ক করেছিল রাজনৈতিক মন্তব্য না করার জন্য। এর পর তাঁর ম্যাচ পারিশ্রমিকের ৩০ শতাংশ জরিমানা করা হয়। সবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, এই শাস্তির বিরুদ্ধে আবেদন করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
পিটিআই জানিয়েছিল, সূর্যের পাশাপাশি শাস্তি হয়েছে পাকিস্তানের হ্যারিস রউফেরও। তাঁকেও ম্যাচ পারিশ্রমিকের ৩০ শতাংশ জরিমানা দিতে হবে। আগ্রাসী আচরণের জন্যই এই শাস্তি। পাকিস্তানের আর এক ক্রিকেটার সাহিবজ়াদা ফারহানকে সতর্ক করে দিয়েছেন ম্যাচ রেফারি।
সুপার ফোরের ম্যাচে ফারহানের ‘একে৪৭ সেলিব্রেশন’ এবং রউফের ‘প্লেন ক্র্যাশ সেলিব্রেশন’-এর বিরোধিতা করে আইসিসি-র কাছে সরকারি ভাবে অভিযোগ জানিয়েছিল ভারত। উল্টো দিকে, পাকিস্তান অভিযোগ জানিয়েছিল সূর্যকুমারের ‘পহেলগাঁও’ মন্তব্যের জন্য।
ফারহান এবং রউফ দু’জনেই জানান তাঁরা কোনও অপরাধ করেননি। ফলে আনুষ্ঠানিক শুনানি করতেই হত। ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসন শুক্রবার পাকিস্তানের টিম হোটেলে গিয়ে দুই ক্রিকেটারের সঙ্গে আলাদা করে দেখা করেন। ফারহান জানান, তিনি ক্রিকেটীয় সংস্কৃতির বিরোধী কোনও কাজ করেননি। যে উচ্ছ্বাস তিনি করেছেন তা পাকিস্তানের পাখতুন সম্প্রদায়ের দীর্ঘ দিনের প্রথা। রউফ কী যুক্তি দিয়েছেন তা জানা যায়নি। তবে ‘অশ্লীল ভাষা’ এবং ‘আগ্রাসী আচরণ’-এর জন্য ম্যাচ রেফারি ভর্ৎসনা করেন তাঁকে। দুই ক্রিকেটারকেই লিখিত ভাবে উত্তর দিতে হয়।