গত বারের রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন বিদর্ভ। — ফাইল চিত্র।
আসন্ন ঘরোয়া ক্রিকেটের মরসুমে রঞ্জি ট্রফি হবে দুই ভাগে। তবে ফরম্যাটে সামান্য বদল আনা হচ্ছে। একই ভাবে বদলে যাচ্ছে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ফরম্যাটও। শনিবার বোর্ডের অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকের পর তেমনটাই জানা গিয়েছে।
ঠিক হয়েছে, প্রথম পর্বে ১৫ অক্টোবর থেকে রঞ্জি শুরু হয়ে চলবে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত। দ্বিতীয় পর্বের খেলা হবে ২২ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি। নকআউট চলবে ৬-২৮ ফেব্রুয়ারি। বোর্ডের কর্তাদের মতে, দুই বিভাগে রঞ্জি আয়োজন করলে খেলোয়াড়দের উপর চাপ অনেকটাই কমানো যাবে।
রঞ্জির দুই পর্বের মাঝে আয়োজন করা হবে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি এবং বিজয় হজারে ট্রফি। সৈয়দ মুস্তাক এবং মহিলাদের টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হবে সুপার লিগ ফরম্যাটে। অর্থাৎ প্রতিটি দল লিগ পর্যায়ে তিনটি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। গ্রুপ এ এবং গ্রুপ বি-র শীর্ষে থাকা দুই দল ফাইনালে মুখোমুখি হবে। প্রতিযোগিতা আরও উত্তেজক করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া, সৈয়দ মুস্তাক ও বিজয় হজারেতে আসছে প্লেট বিভাগ। নীচে থাকা ছ’টি দল প্লেট বিভাগে নেমে যাবে। মহিলা, পুরুষ সব বিভাগেই এই নিয়ম চালু হচ্ছে।
রঞ্জি ট্রফিতে এ বার থেকে দু’টির জায়গায় একটি করে দলের উত্তরণ-অবনমন হবে। আগের কয়েক মরসুমে দু’টি করে দল প্লেট থেকে এলিটে উঠত। দু’টি করে দল এলিট থেকে প্লেটে নামত। বোর্ডের যুক্তি, প্লেট থেকে এলিটে ওঠা দলগুলি বাকি দলের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারে না। তাই এই বদল। আগের বার মেঘালয় প্লেট থেকে এলিটে উঠে সাতটি ম্যাচই হেরেছিল।
দলীপ এবং মহিলাদের চ্যালেঞ্জার্স ট্রফির খেলা হবে আঞ্চলিক ফরম্যাটে। ছ’টি আঞ্চলিক দল তৈরি হবে, যা বেছে নেবেন আঞ্চলিক নির্বাচক কমিটির সদস্যরা। অগস্টের শেষের দিকে দলীপ ট্রফি দিয়ে ঘরোয়া মরসুম শুরু হবে। ইরানি কাপ চলবে অক্টোবরে ১-৫ তারিখ পর্যন্ত।
নিউ জ়িল্যান্ড সিরিজ়ের সূচিও এ দিন ঘোষণা করা হয়েছে। এক দিনের ম্যাচগুলি হবে যথাক্রমে হায়দরাবাদ (১১ জানুয়ারি), রাজকোট (১৪ জানুয়ারি) এবং ইনদওরে (১৮ জানুয়ারি)। টি-টোয়েন্টিগুলি হবে নাগপুর (২১ জানুয়ারি), রাঁচী (২৩ জানুয়ারি), গুয়াহাটি (২৫ জানুয়ারি), বিশাখাপত্তনম (২৮ জানুয়ারি) এবং তিরুঅনন্তপুরমে (৩১ জানুয়ারি)।