Ranji Trophy 2025-26

উইকেটহীন শামি, জঘন্য ফিল্ডিং, ত্রিপুরার বিরুদ্ধে ১ পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল বাংলাকে

বোনাস পয়েন্ট নিয়ে আগরতলা থেকে ফেরার লক্ষ্য ছিল বাংলার। জয় তো এলই না। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থেকে ৩ পয়েন্ট পেলেন না অভিষেক পোড়েলেরা। প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচেই হোঁচট খেল বাংলা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:৫৫
Share:

মহম্মদ শামি। ছবি: পিটিআই।

২৫ ওভার বল করে একটিও উইকেট পেলেন না মহম্মদ শামি। বাংলার ক্রিকেটারেরা বেশ কিছু ক্যাচ ফেললেন। ত্রিপুরার বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া উইকেটরক্ষক অভিষেক পোড়েলই ফেললেন সবচেয়ে বেশি ক্যাচ। ফলে বোনাস পয়েন্টের লক্ষ্য নিয়ে আগরতলায় যাওয়া লক্ষ্মীরতন শুক্লর বাংলা দলকে ১ পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে হচ্ছে।

Advertisement

রঞ্জি ট্রফির প্রথম দু’ম্যাচে ১২ পয়েন্ট পেয়েছে বাংলা। ঘরের মাঠে দু’টি ম্যাচেই জয় পেয়েছে। অথচ মরসুমের প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচেই হোঁচট খেতে হল বাংলাকে। বোনাস পয়েন্ট নিয়ে জেতার লক্ষ্য সোমবারই পাল্টে ফেলতে হয়েছিল বাংলাকে। ৩ পয়েন্টের জন্য লড়াই শুরু হয়। মঙ্গলবার ম্যাচে শেষ দিন সেই আশাও শেষ করে দেন ত্রিপুরার অধিনায়ক মণিশঙ্কর মুরাসিংহ। তাঁর প্রতিরোধে প্রথম ইনিংসের রানে পিছিয়ে পড়ে বাংলা। এর পর আর সরাসরি জয়ের কোনও সুযোগই ছিল না।

প্রথম ইনিংসে বাংলা করে ৩৩৬ রান। এর পর ৫৩ রানেই ত্রিপুরার ৫ উইকেট ফেলে দেন বাংলার বোলারেরা। শামি উইকেট না পেলেও তাঁর ভাই মহম্মদ কাইফ বোনাস পয়েন্টের আশা উজ্জ্বল করে তুলেছিলেন। কিন্তু বাংলা আটকে গেল দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের সামনে। ভারতীয় দলের হয়ে খেলা দুই ক্রিকেটার হনুমা বিহারী এবং বিজয় শঙ্কর সেই আশা শেষ করে দেন। হায়দরাবাদ ছেড়ে হনুমা এখন ত্রিপুরায়। তামিলনাড়ুর বিজয়ও এখন ত্রিপুরার ক্রিকেটার। হনুমার ১৪১ এবং বিজয়ের ৩৪ রানের ইনিংস ত্রিপুরার ব্যাটিং ধস সামলে দেয়। সপ্তম উইকেটের জুটিতে ১০৭ রান তোলেন তাঁরা।

Advertisement

তার পরও ৩ পয়েন্ট পেতে পারত বাংলা। মঙ্গলবার হনুমা আউট হওয়ার সময় ত্রিপুরার রান ছিল ৮ উইকেটে ৩১৬। ২০ রানে মধ্যে শেষ ২ উইকেট নিতে হল শামিদের। কিন্তু বাংলার বোলারদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিলেন মণিশঙ্কর। ন’নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ত্রিপুরার অধিনায়ক খেললেন ১০২ রানের অপরাজিত ইনিংস। ২২ গজে সঙ্গী হিসাবে পেয়ে যান ১০ নম্বরে নামা রানা দত্তকে। তিনি করেন ২৭ রান। নবম উইকেটে তাঁদের জুটিতে ওঠে ৬১ রান। শেষ পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে ৩৮৫ রান তুলে ত্রিপুরা ৩ পয়েন্ট নিশ্চিত করে ফেলে। সব আশা শেষ হয়ে যায় বাংলার। কাইফ শেষ পর্যন্ত ৭৯ রানে ৪ উইকেট নেন। ৭২ রানে ৩ উইকেট ঈশান পোড়েলের। ৫৫ রানে ২ উইকেট রাহুল প্রসাদের। ৮৪ রানে ১ উইকেট শাহবাজ় আহমেদের।

ম্যাচের বাকি সময়টুকুও বাংলার ব্যাটারেরা সুনাম অনুযায়ী খেলতে পারেননি। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে খেলা শেষ হওয়ার সময় পর্যন্ত ২৫ ওভারে ৩ উইকেটে ৯০ রান করে বাংলা। প্রথম তিন ব্যাটারই ব্যর্থ। সুদীপ কুমার ঘরামি (০), কাজি সইফি (০) এবং হাবিব গান্ধী (৩) পর পর আউট হয়ে যান। ১৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলা। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন অনুষ্টুপ মজুমদার (৩৪) এবং শাহবাজ় (৫১)। রঞ্জির তিন ম্যাচে বাংলার পয়েন্ট হল ১৩।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement