Sourav Ganguly Meets Shubman Gill

দুই ‘এসজি’-র সাক্ষাৎ! শুভমনকে দেখতে হাসপাতালে সৌরভ, ভারত অধিনায়কের সঙ্গে কথা হল ইডেন টেস্ট নিয়েও

ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়ায় শনিবার উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল শুভমন গিলকে। সেখানেই শুভমনের সঙ্গে দেখা করতে যান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:০০
Share:

(বাঁ দিকে) শুভমন গিল ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

শুভমন গিলকে দেখে এলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইডেন গার্ডেন্সে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টের দ্বিতীয় দিন ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়ায় উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল শুভমনকে। সেখানেই তাঁকে দেখতে যান সৌরভ।

Advertisement

রবিবার ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট শেষ হওয়ার পর হাসপাতালে যান সৌরভ। প্রথমে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন বাংলার ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি। তার পর শুভমনের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। দু’জনের মধ্যে ১০-১৫ মিনিট কথা হয়।

জানা গিয়েছে, শুভমনের স্বাস্থ্য নিয়ে কথা হয়েছে দু’জনের। পাশাপাশি ইডেন টেস্ট নিয়েও ভারতের বর্তমান অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রাক্তন অধিনায়ক।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে খবর, শুভমনের ব্যথা এখন কিছুটা কম। কিন্তু পুরোপুরি অস্বস্তি কমেনি। শুভমন নিজে হাসপাতালে থাকতে চাইছেন না বলে খবর। তিনি দলের সঙ্গে যোগ দিতে চাইছেন। তবে তাঁকে নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না ভারতীয় দল। আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন বোর্ডের চিকিৎসকেরা।

রবিবার ম্যাচের শেষে ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর বলেছেন, “এখনও গিলের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। দেখা যায় কী হয়। আজ রাতের মধ্যে ওকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ফিজিয়োরা। তার পর দল হিসাবে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।” ফলে গুয়াহাটি টেস্টে শুভমনের খেলা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছেই।

বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছিল, শনিবার ঘুম থেকে ওঠার পরেই শুভমন ঘাড়ে ব্যথা অনুভব করেন। তার জন্য তিনি ব্যথা কমানোর ওষুধ খেয়েছিলেন। তাতেও লাভ হয়নি। ব্যাট করতে নামার আগেও তিনি ব্যথা কমানোর ওষুধ খেয়েছিলেন। নিজের তৃতীয় বলে সাইমন হারমারকে স্লগ সুইপ মারতে গিয়ে ঘাড়ে আবার ব্যথা শুরু হয়েছিল শুভমনের। সঙ্গে সঙ্গে মাঠে চলে এসেছিলেন ফিজিয়ো। পরীক্ষা করার পর শুভমনকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মাত্র তিন বল ক্রিজ়ে ছিলেন শুভমন। সমস্যা এতটাই যে ঘাড় ঘোরাতেই পারছিলেন না শুভমন। মেরুদণ্ডেও সমস্যা রয়েছে বলে জানা গিয়েছিল।

হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর এমআরআই হয়েছিল শুভমনের। সেখানেও ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়ার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। এক বছর আগে এমনই একটি চোট পেয়েছিলেন শুভমন। তখনও এমআরআই করানো হয়েছিল। তখনকার এবং এখনকার এমআরআই-এর ফলাফলের মধ্যে মিল রয়েছে।

চিকিৎসকদের দাবি, শুভমনের বয়স যেহেতু ২৬ বছর, তাই তাঁর মধ্যে সহ্যশক্তি বেশি। চিকিৎসার পরিভাষায় একে ‘পেন থ্রেসহোল্ড’ বলে। কিন্তু এ বারের ব্যথা এতটাই যে শুভমন তা সহ্য করতে পারছিলেন না। ফলে চিকিৎসকেরা তাঁকে হোটেলে দলের সঙ্গে রাখতে চাননি। এখন দেখার শুভমনকে নিয়ে পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement