সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর সোমবার সিএবিতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক।
আবার একলাখি ইডেন গার্ডেন দেখতে চলেছে কলকাতা। ছয় বছর পর দ্বিতীয় বার বঙ্গে ক্রিকেটের প্রশাসনে ফিরে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিজের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে দিলেন।
সোমবার সিএবির ৯৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় সৌরভ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন। এর আগে ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি সিএবির সভাপতি ছিলেন। সৌরভ জানান, আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরেই ইডেনের আসনসংখ্যা বৃদ্ধি করার কাজে তিনি হাত দেবেন। তিনি বলেন, ‘‘এই কাজ আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরেই হবে। কারণ, এটা সময়সাপেক্ষ। লিজ়ের নবীকরণ হয়েছে।’’
ইডেনে প্রথমে এক লাখের উপর দর্শকাসন ছিল। কিন্তু দর্শকদের বসতে যাতে অসুবিধা না হয়, সেই কারণে ২০১১ বিশ্বকাপের আগে গ্যালারির সংস্কার হয়। তখন দর্শকাসন কমে ৬৮ হাজার হয়ে যায়।
সৌরভের সামনে প্রথম বড় ইভেন্ট নভেম্বরে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট ম্যাচ আয়োজন করা। ১৪ নভেম্বর থেকে ইডেনের সেই ম্যাচ নিয়ে অবশ্য এখনই কিছু ভাবেননি তিনি। বলেন, ‘‘আমি আসলে এটা নিয়ে ভাবিনি। হাতে এখনও দু’মাস সময় আছে। একটা ভাল টেস্ট ম্যাচ হবে। দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। এটা নিয়ে ভাবব। সব কিছুই রয়েছে— ভাল পিচ, ভাল দর্শক, পরিকাঠামো সবই আছে।’’
২০১৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ঐতিহাসিক দিন-রাতের গোলাপি বলের টেস্টের পর এই প্রথম ইডেনে টেস্ট হবে। তখন সৌরভ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান ছিলেন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল বা অন্য কোনও বড় ম্যাচ ইডেন পেতে পারে কি না জানতে চাইলে সৌরভ বলেন, ‘‘বোর্ডের সঙ্গে কথা বলব। ওখানেও নতুন সদস্য। আমি তাকে (নতুন বিসিসিআই সভাপতি) শুভকামনা জানাই। এটা ক্রিকেট খেলার চেয়ে আলাদা হবে। আমি নিশ্চিত যে ও ভাল করবে। শুধু মিঠুন (মনহাস) নন, রঘুরাম ভাট-সহ অনেক নতুন কর্মকর্তা রয়েছেন বোর্ডে।’’
আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ইডেন গার্ডেন্সে হাই-প্রোফাইল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যার মধ্যে একটি সেমিফাইনালও থাকতে পারে। সৌরভ বিসিসিআইয়ের নতুন দলের সদস্যদের সঙ্গে আসন্ন আলোচনার কথা উল্লেখ করেছেন। সৌরভ বলেন, ‘‘বোর্ডের সঙ্গে কথা বলব। তাঁরাও নতুন সদস্য। আমি নতুন বিসিসিআই সভাপতিকে শুভকামনা জানাই। এটা ক্রিকেট খেলার চেয়ে কঠিন হবে। আমি নিশ্চিত ও ভাল করবে।’’
বাংলার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পরিকাঠামো শক্তিশালী করা এবং ডুমুরজালায় একটি নতুন অত্যাধুনিক একাডেমি চালু করার উপর জোর দিয়েছেন সৌরভ। যার জন্য সিএবি নয় একর জমি অধিগ্রহণ করেছে। সৌরভ বলেন, ‘‘নয় একর জমির উপর ডুমুরজলা একাডেমি হবে। এটি কল্যাণী একাডেমির মতো হবে। এতে ফ্লাডলাইট এবং অন্যান্য অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকবে। আমরা এমন ক্রিকেটার তৈরি করতে চাই যারা অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।’’
দায়িত্ব নিয়েই সৌরভের প্রথম ব়়ড় ঘোষণা, রাজ্য ইউনিট এবং জেলা অ্যাসোসিয়েশনগুলির অনুদান ৫ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮ কোটি টাকা করা হল।