আরও একটি ম্যাচে নজর কাড়লেন আয়ুষ মাত্রে। ছবি: পিটিআই।
ছন্দ পেতে পেতে মরসুম শেষ হয়ে গেল চেন্নাই সুপার কিংসের। চলতি মরসুমে দুটো ম্যাচে ২০০-র বেশি রান করেছে তারা। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ২০১ ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ২১১ রান করেছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরা। সেই রান চেন্নাই টপকে গেল শেষ ম্যাচে। মরসুমে তাদের শেষ ম্যাচে সবচেয়ে ভাল ব্যাট করতে দেখা গেল চেন্নাইয়ের ব্যাটারদের। প্রত্যেকে রান করলেন। ফলে গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৩০ রান করল তারা।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ধোনি। তিনি জানান, এই ম্যাচ জেতা-হারার উপর তাঁদের অবস্থানের কোনও বদল হবে না। পয়েন্ট তালিকায় সকলের শেষেই থাকবেন তাঁরা। তাই তাঁরা উপভোগ করতে চান। বাস্তবে সেটাই দেখা গেল। প্রত্যেক ব্যাটার হাত খুলে খেললেন। শুরুটা করেন আয়ুষ মাত্রে। পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে ১৭ বলে ৩৪ রান করেন তিনি। তিনটে চার ও তিনটে ছক্কা মারেন তরুণ আয়ুষ।
প্রসিদ্ধ কৃষ্ণের বলে আয়ুষ আউট হলেও রান তোলার গতি কমেনি চেন্নাইয়ের। আয়ুষের পর উর্বিল পটেল দেখান, কেন মরসুমের মাঝপথে তাঁকে নিয়েছে চেন্নাই। ১৯ বলে ৩৭ রান করেন তিনি। তাঁরা দু’জন চালিয়ে খেলায় থিতু হওয়ার সময় পান ডেভন কনওয়ে। দুই ভারতীয় আউট হওয়ার পর হাত খোলা শুরু করেন কনওয়ে। অর্ধশতরান করেন তিনি। ৩৫ বলে ৫২ রান করে রশিদ খানের বলে আউট হন তিনি।
এই ম্যাচে চেন্নাইয়ের প্রত্যেক ব্যাটারই বড় শট খেলেছেন। কনওয়ে আউট হওয়ার পর দলের রানকে টেনে নিয়ে গেলেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। তাঁকেও মাঝপথে নিয়েছে চেন্নাই। যে তিন জনকে তাঁরা মাঝে নিয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকে রান করলেন। বোঝা গেল, পরের বারের যে ভাবনা ধোনিরা নিয়েছেন সেই পথে ঠিকই এগোচ্ছেন তাঁরা।
আরও একটি অর্ধশতরান এল ব্রেভিসের ব্যাট থেকে। এই ম্যাচে ১৯ বলে ৫০ করলেন তিনি। তাঁকে সঙ্গ দিলেন শিবম দুবে ও রবীন্দ্র জাডেজা। ইনিংসের শেষ বলে আউট হলেন ব্রেভিস। ২৩ বলে ৫৭ রান করলেন তিনি। জাডেজা ১৮ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকলেন।
চেন্নাইকে সুবিধা করে দিল গুজরাতের ফিল্ডিং। ক্যাচ পড়ল। চার গলল। মহম্মদ সিরাজ, আর্শাদ খান ও রশিদ মার খেলেন। তবে তার মধ্যেই নজর কাড়লেন ভারতের টেস্ট দলে সুযোগ পাওয়া প্রসিদ্ধ। চার ওভারে ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন তিনি।