India Vs Bangladesh

কানপুরে টেস্ট শেষ আড়াই দিনে, উইকেট নিয়ে প্রশ্ন, পিচ তৈরির মাটিই পাচ্ছে না ক্রিকেট সংস্থা

কানপুরে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে টেস্ট আড়াই দিনে শেষ হয়ে গিয়েছে। পিচের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রোহিত শর্মা নিজেই। জানা গিয়েছে, পিচ তৈরির মাটিই পাওয়া যাচ্ছে না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:৪৮
Share:

কানপুরের পিচ খতিয়ে দেখছেন রোহিত শর্মা, গৌতম গম্ভীরেরা। ছবি: পিটিআই।

কানপুরে আড়াই দিনে ভারত-বাংলাদেশ টেস্ট শেষ হওয়ার পরে পিচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রোহিত শর্মা। ম্যাচ জিতলেও রোহিত জানিয়েছেন, পিচ থেকে বোলারেরা তেমন সুবিধা পাননি। কানপুরে সাধারণত কালো মাটির উইকেট তৈরি হয়। পিচ নিয়ে প্রশ্নের মাঝে জানা গিয়েছে, পিচ তৈরির মাটিই নাকি পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে চিন্তায় পড়েছে উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা।

Advertisement

কানপুরে পিচ তৈরি হয় উন্নাও থেকে আনা মাটি দিয়ে। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে উন্নাওয়ের মাটির চরিত্র বদলেছে। মাটির গুণমান কমেছে। বেশি মাটি পাওয়াও যাচ্ছে না। কালো মাটির পিচ তৈরি করতে গেলে তাতে অন্তত ৫০ শতাংশ কাদামাটি প্রয়োজন। কানপুর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরের উন্নাওয়ে সেই গুণমানের মাটি আর পাওয়া যাচ্ছে না বলে খবর।

কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে এক মরসুমে সব মিলিয়ে প্রায় ১৫০ ম্যাচ হয়। তার জন্য ন’টি পিচ রয়েছে। সবগুলিই কালো মাটির পিচ। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার পিচ প্রস্তুতকারক শিব কুমার বলেন, “প্রতি মরসুমে পিচ বানাতে ১২০০ কিউবিক ফুট মাটি লাগে। আমার কেরিয়ারে আমি দেখেছি শুধু উন্নাও থেকেই মাটি এসেছে। তাই চিন্তা আরও বাড়ছে। উন্নাওয়ে মাটির পরিমাণ কমছে। মাটির গুণমানও খারাপ হচ্ছে। যা মাটি আছে তা দিয়ে খুব বেশি হলে আরও দুই মরসুম পিচ তৈরি করা যাবে। তার পরে কী হবে?”

Advertisement

উন্নাওয়ে একটি পুকুরের নীচের মাটি থেকেই কানপুরের পিচ তৈরি করা হয়। সেই মাটি নিয়েই সমস্যা। মাটিতে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ কাদা না থাকলে কালো মাটির পিচ তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন শিব। এই পরিস্থিতিতে কালো মাটির জন্য ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে তাকাচ্ছেন তাঁরা। একটি পিচ পুরো তৈরি করতে অন্তত ৪৫ দিন সময় লাগে। জানুয়ারি মাসে আবার পিচ তৈরি করার কাজ শুরু হবে। তার মধ্যে মাটির সমস্যা মেটানো যাবে কি না তা নিয়েই চিন্তায় উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement