কটাক্ষ: বাজ়বলকে বিদ্রুপ করে পোস্টার। তবু ছবি তুললেন স্টোকস। ছবি: এক্স।
অ্যাশেজ়ে মাঠে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। আর মাঠের বাইরে ছুটি কাটাতে গিয়ে পড়তে হচ্ছে অস্ট্রেলীয় সমর্থকদের কটাক্ষের সামনে! অ্যাডিলেডে তৃতীয় টেস্টের আগে বেশ কয়েকটা দিন ফাঁকা থাকায় ছুটি পেয়েছেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। কিন্তু ছুটি কাটাতে গিয়েও রক্ষা নেই বেন স্টোকসদের। সমুদ্র সৈকতেও স্লেজিংয়ের মুখে পড়তে হয়েছে ইংল্যান্ডের বাজ়বলকে!
কুইন্সল্যান্ডের দক্ষিণে অবস্থিত সৈকত শহর নুসায় ছুটি কাটাচ্ছেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। বুধবার সকালে সমুদ্র সৈকতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানে হঠাৎ হাজির হয়ে যান স্থানীয় দুই যুবক। যাঁরা আবার রেডিয়ো অনুষ্ঠানের সঞ্চালকও। পুরো সাদা পোশাকে পরে তাঁরা দু’টো পোস্টার হাতে দাঁড়িয়ে যান ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের সামনে। একটা পোস্টারে লেখা রয়েছে— ‘নৈতিক জয় কিনতে পাওয়া যাচ্ছে।’ অন্য পোস্টারে লেখা— ‘বাজ়বল খেলোয়াড়দের জন্য বিনামূল্যে পরামর্শ বিতরণ করা হচ্ছে!’’
তবে পুরো ঘটনায় মেজাজ হারাননি ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। বরং অধিনায়ক বেন স্টোকস ওই দুই যুবকের সঙ্গে ছবিও তোলেন। ব্রিসবেনে দিনরাতের টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার কাছে বিধ্বস্ত হয়ে সিরিজ়ে ০-২ পিছিয়ে রয়েছে ইংল্যান্ড। সমালোচনার মুখে বাজ়বল ক্রিকেট। পরের টেস্ট ১৭ ডিসেম্বর। তার আগে চার দিনের ছুটি কাটাতে এই শহরে এসেছেন জো রুট-জফ্রা আর্চাররা। স্টোকসদের অবশ্য আগেই সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল যে, সাধারণের মধ্যে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারেন তাঁরা। এই সিরিজ়ে মাঠে তাঁদের বাজ়বল নীতি সমালোচিত হলেও মাঠের বাইরে ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের মনোভাব কিন্তু প্রশংসিত হচ্ছে। ভিড়ের মধ্যে সাধারণ মানুষের সঙ্গে খুব ভাল ভাবে মিশে যেতে পেরেছেন ক্রিকেটারেরা। প্রচারমাধ্যমকেও খুব ভালভাবে সামলাচ্ছেন। যেমন দেখা গেল নুসায়। অস্ট্রেলীয়রা বাজ়বলকে স্লেজিং করলেও মাথা গরমকরেননি স্টোকসরা।
নুসা খুব ছোট শহর। ফলে এখানে তারকা ক্রিকেটারদের আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে ওঠাটা খুবই স্বাভাবিক। সমুদ্র সৈকতে ‘কাউবয় হ্যাট’ কিনতে দেখা যায় চার ক্রিকেটারকে। তাঁদের ঘিরে ভিড় জমে যায় সঙ্গে সঙ্গে। তবে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। শনিবার পর্যন্ত এই শহরেই থাকবেন স্টোকসরা। তার পরে অ্যাডিলেড রওনা হবেন তৃতীয় টেস্ট খেলতে। নুসা শহরে ছুটি কাটাতে আসার একটা কারণ আছে। ইংল্যান্ডের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালামের এটি একটি প্রিয় জায়গা। ম্যাকালামের স্ত্রী অস্ট্রেলীয়। পরিবার নিয়ে মাঝে মাঝেই এই সমুদ্র সৈকতে ছুটি কাটাতে আসেন ম্যাকালাম।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে