চর্চায় মিচেল স্টার্কের এই ক্যাচ। ছবি: রয়টার্স।
অ্যাশেজ় সিরিজ়ের প্রথম টেস্টে ভাল জায়গায় ইংল্যান্ড। অন্তত পার্থের ২২ গজের আচরণ মাথায় রাখলে, জয়ের আশা দেখতে পারেন বেন স্টোকসেরা। শনিবার অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস ১৩২ রানে শেষ হওয়ায় ৪০ রানের গুরুত্বপূর্ণ লিড পায় ইংল্যান্ড। এর পর দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড করল ১৬৪ রান। জয়ের জন্য স্টিভ স্মিথদের দরকার ২০৫ রান। বোলারদের দাপটের পাশাপাশি এই টেস্টের চর্চায় উঠে এসেছে শনিবার নেওয়া মিচেল স্টার্কের নেওয়া একটি ক্যাচ।
ম্যাচের প্রথম দিনই ১৯ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয় দিনও আলাদা কিছু হল না। বোলারেরাই দাপট দেখালেন। শনিবার সকালে নাথান লায়নকে (৪) আউট করে দলকে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে দেন ব্রাইডন কার্স। সেই সুবিধা খুব একটা কাজে লাগাতে পারলেন না ইংরেজ ব্যাটারেরা। তবু স্টোকস স্বস্তিতে থাকতে পারেন স্টার্ক, স্কট বোল্যান্ড, ব্রেন্ডন ডগেটদের বোলিং দেখে।
দ্বিতীয় ইনিংসেও বড় রান পেলেন না ইংল্যান্ডের কোনও ব্যাটার। সর্বোচ্চ গাস অ্যাটকিনসনের ৩৭। ওপেনার জ্যাক ক্রলি দ্বিতীয় ইনিংসেও শূন্য। বেন ডাকেট (২৮) এবং অলি পোপ (৩৩) কিছুটা লড়াই করলেন দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে। উঠল ৬৫ রান। ব্যর্থ জো রুট (৮), হ্যারি ব্রুক (০), স্টোকস (২)। চেষ্টা করলেন জেমি স্মিথ (১৫)। ফলে ১ উইকেটে ৬৫ থেকে ইংল্যান্ড ৮৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে। সেখান থেকে ইংল্যান্ডকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেন অ্যাটকিনসন এবং কার্সের লড়াই। কার্স করলেন ২০ রান। অষ্টম উইকেটের জুটিতে তাঁরা যোগ করলেন ৫০ রান।
স্টার্কের ৫৫ রানে ৩ উইকেট। ম্যাচে ১০ উইকেট হল তাঁর। বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়ের জন্যও আলোচনায় উঠে এসেছেন অস্ট্রেলিয়ার জোরে বোলার। ইংল্যান্ডের ওপেনার ক্রলিকে শনিবার তিনি আউট করেছেন নিজের বলেই ক্যাচ ধরে। ফলো থ্রু শেষ করার আগেই বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে প্রায় মাটি থেকে তুলে নিয়েছিলেন ইংরেজ ওপেনারের ক্যাচ। ৩৫ বছর বয়সী এক জন জোরে বোলারের পক্ষে এমন ক্যাচ ধরা বেশ কঠিন। সেই কঠিন কাজই পার্থ টেস্টে করে দেখিয়েছেন তিনি। স্টার্কের ধরা এই ক্যাচকে সেরা রিটার্ন ক্যাচ বলছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একাংশ। প্রশংসা হচ্ছে তাঁর ফিটনেসেরও।
দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার বোল্যান্ড ৩৩ রানে ৪ উইকেট নিলেন। ৫১ রানে ৩ উইকেট ডগেটের।