সরফরাজ খান। — ফাইল চিত্র
রঞ্জি ট্রফিতে টানা দুই মরসুম নশোর বেশি রান করেও জাতীয় দলে বার বার ব্রাত্য সরফরাজ খান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে নতুন মুখরা জায়গা পেলেও তিনি পাননি। অনেকেই বোর্ডের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তবে শুধু রান নয়, দল নির্বাচনে আরও বেশ কিছু বিষয় বিচার্য বলে মনে করছেন নির্বাচকরা। সেখানেই বাতিলের খাতায় চলে যাচ্ছেন সরফরাজ। তাঁর ফিটনেস এবং মাঠের মধ্যে আচরণ নিয়ে সংশয় রয়েছে নির্বাচকদের মনে।
গত তিন রঞ্জি মরসুমে ২৫৬৬ রান করেছেন সরফরাজ। ২০১৯-২০ মরসুমে ৯২৮ এবং ২০২২-২৩ মরসুমে ৬৫৬ রান করেছেন। কিন্তু তাঁর জায়গায় যশস্বী জয়সওয়াল এবং রুতুরাজ গায়কোয়াড় সুযোগ পেয়েছেন, যাঁদের গড় সরফরাজের থেকে কম।
এই প্রসঙ্গে বোর্ডের এক কর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেছেন, “সমর্থকদের প্রতিক্রিয়া থাকবেই। কিন্তু সরফরাজকে না নেওয়ার পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। বার বার তো এ ভাবে কাউকে প্রত্যাখ্যান করা যায় না। একাধিক কারণ রয়েছে ওকে না নেওয়ার।”
কী কী কারণ?
ওই বোর্ডকর্তার ব্যাখ্যা, “রঞ্জিতে দুটো মরসুমে ৯০০ রান করা ব্যাটারকে নেবে না, নির্বাচকেরা অতটাও বোকা নয়। প্রথমত, সরফরাজের ফিটনেস মোটেই আন্তর্জাতিক মানের নয়। ওকে কঠোর পরিশ্রম করে ওজন ঝরিয়ে অনেক রোগা এবং ফিট হতে হবে। তা হলেই দলে সুযোগ পাবে। দ্বিতীয়ত, মাঠে এবং মাঠের বাইরে ওর আচরণ খুব একটা ভাল নয়। কিছু কথা, কিছু ব্যবহার, কিছু ঘটনা নির্বাচকেরা লক্ষ করেছেন। আরও একটু শৃঙ্খলা দেখালে খুব ভাল হত। আশা করি আগামী দিনে সরফরাজ এ বিষয়ে ও বাবা এবং কোচ নওশাদ খানের সঙ্গে আলোচনা করবে।”
শোনা গিয়েছে, এ বছরের শুরুতে দিল্লির বিরুদ্ধে শতরান করার পর সরফরাজের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সেই ম্যাচে হাজির ছিলেন প্রাক্তন প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মা। তিনি বিষয়টি ভাল ভাবে নেননি। গত বছর রঞ্জি ফাইনালেও সরফরাজের একটি আচরণে বিতর্ক হয়। তৎকালীন মধ্যপ্রদেশের কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের সঙ্গেও ঝামেলা হয়।
তবে আইপিএলের পারফরম্যান্স কোনও ভাবেই না নেওয়ার পিছনে দায়ী নয়। বোর্ডকর্তার কথায়, “এটা সংবাদমাধ্যমের যুক্তি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০০০ রান করে মায়াঙ্ক আগরওয়াল দলে ঢুকেছিল। তখন কি কেউ ওর আইপিএল রেকর্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল? হনুমা বিহারীর ক্ষেত্রেও একই কথা বলব। সে-ও ঘরোয়া ক্রিকেট এবং ভারত ‘এ’ দলের পারফরম্যান্সের সুবাদে জাতীয় দলে ঢুকেছিল। এখন তা হলে নতুন তত্ত্ব খাড়া করা হচ্ছে কেন?”