Mohammed Azharuddin Controversy

বিতর্কে ঘি ঢাললেন আজহার! ‘১০ বছর দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে এই পেলাম, আদালতে যাব’

স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ উঠেছে ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিনের বিরুদ্ধে। যদিও পিছু হটছেন না তিনি। পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আজহার।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:১১
Share:

মহম্মদ আজহারউদ্দিন। —ফাইল চিত্র।

অভিযোগ উঠলেও নিজের অবস্থান থেকে সরছেন না মহম্মদ আজহারউদ্দিন। পিছু হটছেন না তিনি। স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ উঠেছে আজহারউদ্দিনের বিরুদ্ধে। পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আজহার। হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক।

Advertisement

কী নিয়ে বিতর্ক?

হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজহারের নামে একটি স্ট্যান্ড রয়েছে। সেই স্ট্যান্ড সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি খেলার টিকিট থেকেও আজহারের নাম মুছে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থাকে। দ্রুত এই নির্দেশ পালন করতে বলা হয়েছে।

Advertisement

হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার এথিক্স অফিসার ও অম্বুডস্‌ম্যান বিচারপতি ভি ঈশ্বরাইয়া এই নির্দেশ দিয়েছেন। চলতি বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি আজহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন লর্ডস ক্রিকেট ক্লাব। হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার অধীনে থাকা ২২৬ সদস্যের মধ্যে এই ক্লাব একটি। তার পরেই সব খতিয়ে দেখে নির্দেশ দিয়েছেন ঈশ্বরাইয়া।

রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে যখন আজহারের নামে স্ট্যান্ড হয়েছিল, তখন তিনি সেই ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি। যে বৈঠকে এই নামে সিলমোহর পড়েছিল, সেই বৈঠকেরও সভাপতিত্ব করেছিলেন আজহার। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, জোর করে নিজের নামে স্ট্যান্ডের নামকরণ করেছেন তিনি। এমনকি, টিকিটে যে তাঁর নাম থাকবে সেটিও তিনিই ঠিক করেছিলেন। ফলে তাঁর নাম সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই অভিযোগের জবাব দিয়েছেন আজহার। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। আজহার জানিয়েছেন, এই নির্দেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হবেন। সংবাদমাধ্যমে আজহার বলেন, “স্বার্থের সংঘাতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। আমি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। আমি এত নীচে নামতে পারব না। ১৭ বছর ক্রিকেট খেলেছি। ১০ বছর দেশের অধিনায়ক ছিলাম। তার পরে আমি এই পেলাম। এ ভাবেই কি হায়দরাবাদে ক্রিকেটারদের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়? সবাই দেখলে হাসবে। আমরা হাই কোর্টে যাব। আদালত ঠিক করে দেবে কী হবে।” আজহারের কথা থেকে স্পষ্ট, এই বিতর্ক এখানেই থামবে না। তা আরও বাড়বে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement