রাজস্থান রয়্যালসের জার্সিতে রাহুল দ্রাবিড়। —ফাইল চিত্র।
ইস্তফা দিলেন রাহুল দ্রাবিড়। তাঁকে আর রাজস্থান রয়্যালসের কোচের দায়িত্বে দেখা যাবে না। গত বছরই আইপিএল দলটির দায়িত্ব নিয়েছিলেন দ্রাবিড়। ব্যক্তিগত কারণে দ্রাবিড় আর দায়িত্বে থাকতে চান না বলে জানা গিয়েছে। শনিবার রাজস্থান রয়্যালস কর্তৃপক্ষ সমাজমাধ্যমে এই খবর জানিয়েছেন।
রাজস্থান কর্তৃপক্ষ দ্রাবিড়কে আরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি রাজি হননি। সমাজমাধ্যমে রাজস্থান কর্তৃপক্ষ লিখেছেন, ‘‘২০২৬ সালের আইপিএলের আগে আমাদের প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড় দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নিয়েছেন। রাহুল বহু বছর আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তাঁর নেতৃত্ব একাধিক প্রজন্মের ক্রিকেটারদের অনুপ্রাণিত করেছে। আমাদের দলের মূল্যবোধ তৈরিতে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তাঁর অবদান আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দলের গঠনগত কিছু পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই মতো রাহুলকে আমরা আরও বড় দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি সেই দায়িত্ব নিতে রাজি হননি। দুর্দান্ত অবদানের জন্য রাজস্থান রয়্যালস কর্তৃপক্ষ, ক্রিকেটারেরা এবং সমর্থকেরা তাঁকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে।’’ ২০২৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সরকারি ভাবে রাজস্থানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন দ্রাবিড়। সেই হিসাবে পুরো এক বছরও দায়িত্বে থাকলেন না তিনি।
দ্রাবিড়ের সঙ্গে রাজস্থানের সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত এই দলের হয়ে আইপিএল খেলেছিলেন। অতীতে দলের মেন্টর হিসাবেও কাজ করেছেন। গত আইপিএলের আগে প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তাঁর পরামর্শেই রাজস্থান কর্তৃপক্ষ গত নিলামে দলে নিয়েছিল বৈভব সূর্যবংশীকে। তাঁর ছোঁয়ায় দ্রুত পরিণত হয়ে উঠেছে বিহারের ১৪ বছরের ব্যাটার। আইপিএলের আগে কর্নাটকে একটি স্থানীয় ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে গিয়ে পায়ে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন দ্রাবিড়। হুইল চিয়ারে বসে রাজস্থানকে কোচিং করিয়েছিলেন তিনি।
গত আইপিএলে ১৪টি ম্যাচ খেলে ৪টিতে জয় পেয়েছিল রাজস্থান। পয়েন্ট তালিকায় নবম স্থানে শেষ করেছিলেন সঞ্জু স্যামসনেরা। তাঁর কোচিংয়ে ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালেও উঠেছিলেন রোহিত শর্মারা। ভারতীয় দলের কোচ হিসাবে চুক্তি শেষ হওয়ার পর রাজস্থানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন।