সানা মির। —ফাইল চিত্র।
আবার বিতর্কের কেন্দ্রে সানা মির। ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ চলাকালীন ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে ‘আজাদ কাশ্মীর’ মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। সেই ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। তার পরেও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় রয়েছেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক।
বিশ্বকাপে পাকিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচের সময় ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন মির। ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে পাকিস্তান দল সম্পর্কে মির বলেন, “পাকিস্তানের এই দলটা কমবয়সি ক্রিকেটারদের নিয়ে তৈরি। অনেক ক্রিকেটারই নতুন। নাতালিয়া (পারভেজ়) কাশ্মীর, আজ়াদ কাশ্মীরের মেয়ে। লাহোরে প্রচুর ক্রিকেট খেলেছে।”
মিরের এই মন্তব্যের পরেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, আইসিসি কেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না? কেন তাঁকে ধারাভাষ্যকারের ভূমিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে না? আইসিসি-র নিয়মে পরিষ্কার বলা আছে, ক্রিকেটে রাজনীতি আনা যাবে না।
বিতর্কের মাঝে নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন মির। পাকিস্তানের মহিলা দলের প্রাক্তন অধিনায়কের বক্তব্য, নাতালিয়া পারভেজ়ের প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই ‘আজ়াদ কাশ্মীর’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করেছেন। তিনি সমাজমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘তাঁর নেতৃত্বে খেলা কয়েক জন ক্রিকেটার পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দলে রয়েছেন। সে সময় তাঁদের বয়স কম ছিল। এ বার যোগ্যতা অর্জন পর্ব খেলে বিশ্বকাপের মূলপর্বে এসেছে পাকিস্তান। এই দলেও বেশ কয়েক জন কমবয়সি খেলোয়াড় রয়েছেন। যেমন নাতালিয়া কাশ্মীর বা তাঁদের কাছে আজ়াদ কাশ্মীরের ক্রিকেটার। নাতালিয়া ক্রিকেটের জন্য কাশ্মীর ছেড়ে লাহোরে এসেছিল।’’
মির বলতে চেয়েছেন, নাতালিয়া দেশের কোন অংশ থেকে উঠে এসেছেন তা বোঝাতেই ‘আজ়াদ কাশ্মীর’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করেছিলেন। তিনি সমাজমাধ্যমে আরও বলেছেন, ‘‘বিষয়টা নিয়ে যে ভাবে হইচই করা হচ্ছে, তা দুর্ভাগ্যজনক। এর ফলে খেলার সঙ্গে জড়িতে ব্যক্তিদের অপ্রয়োজনীয় চাপের শিকার হতে হচ্ছে। অত্যন্ত দুঃখের যে, সাধারণ মানুষকেও ব্যাখ্যা দিতে হচ্ছে। একজন ক্রিকেটার কোথা থেকে উঠে এসেছে, সেটাই বোঝাতে চেয়েছিলাম। তাকে কতটা প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে, বোঝাতে চেয়েছিলাম। ধারাভাষ্যকারেরা এমন তথ্য দিয়েই থাকেন। আমি অন্য দুই ক্রিকেটারের প্রসঙ্গেও বলেছি। তারা কোথা থেকে উঠে এসেছে বলেছি। দয়া করে এর মধ্যে রাজনীতি খুঁজবেন না। আমরা খেলা, দল এবং ক্রিকেটারদের ব্যাপারে কথা বলি। অনুপ্রেরণামূলক কোনও গল্প থাকলে দর্শকদের বলার চেষ্টা করেন ধারাভাষ্যকারেরা। কাউকে আঘাত করার কোনও অভিপ্রায় ছিল না আমার।’’