রশিদ খান। ছবি: পিটিআই।
ব্যাটে রান করার পাশাপাশি অধিনায়ক হিসাবেও এ বারের আইপিএলে সফল শুভমন গিল। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে রয়েছে গুজরাত টাইটান্স। চলতি প্রতিযোগিতা শেষে নতুন এক শুভমনকে দেখা যাবে, এমনটাই মনে করেন তাঁর সতীর্থ রশিদ খান। তাঁর মতে, ভারতের পরের অধিনায়ক হওয়ার সব রকম যোগ্যতা শুভমনের রয়েছে।
সোমবার ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে গুজরাতের। তার আগে রশিদ অধিনায়ক শুভমনকে নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, “অধিনায়ক হিসাবে শুভমনের ভবিষ্যৎ খুব উজ্জ্বল। যে ভাবে ও পরিকল্পনা করে, ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়, তা এক কথায় অসাধারণ।” শুভমনের ঠান্ডা মাথার প্রশংসা করেছেন রশিদ। আফগানিস্তানের ক্রিকেটার বলেন, “শুভমন একটা পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামে। ও খুব ঠান্ডা মাথার ক্রিকেটার। মাঠে ও যে ভাবে দলকে সামলায়, বোলার পরিবর্তন করে, তা দেখে বোঝা যায় ওর মধ্যে ভাল অধিনায়ক হওয়ার সব গুণ রয়েছে। ভারতের ভবিষ্যৎ অধিনায়ক হওয়ার যোগ্য শুভমন।”
আইপিএলে খেলার চাপ বিশ্বকাপের থেকেও বেশি বলে মনে করেন রশিদ। তাঁর মতে, এই প্রতিযোগিতা অধিনায়ককে আরও পরিণত করে। তিনি বলেন, “আইপিএলের মতো একটা প্রতিযোগিতায় অধিনায়কত্ব করছে শুভমন। এখানে খেলার চাপ বিশ্বকাপের থেকেও বেশি। তাই এটা শুভমনের কাছে একটা বড় সুযোগ। এ বারের আইপিএল শেষে এক নতুন শুভমনকে দেখা যাবে। ব্যাটারের পাশাপাশি নেতা হিসাবেও নিজেকে ভারতীয় ক্রিকেটে প্রমাণিত করছে ও।”
২০২২ সালে গুজরাত টাইটান্স প্রথম বার আইপিএল খেলে। সে বার অধিনায়ক ছিলেন হার্দিক পাণ্ড্য। সেই দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। পরের বারও ফাইনাল খেলে গুজরাত। চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হারে তারা। ২০২৪ সালে হার্দিক গুজরাত থেকে নিজের পুরনো দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে যোগ দিলে শুভমনকে অধিনায়ক করা হয়। গত বার দলকে প্লে-অফে তুলতে পারেননি শুভমন। তবে এ বার ভাল খেলছেন তাঁরা। সাত ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে সকলের উপরে গুজরাত। সোমবার কলকাতাকে হারাতে পারলে প্লে-অফে এক পা দিয়ে দেবেন শুভমনেরা।