শুভমন গিলের তর্ক আম্পায়ারের সঙ্গে। ছবি: বিসিসিআই।
আউট হয়ে মেজাজ হারালেন শুভমন গিল। শুক্রবার গুজরাত টাইটান্স-সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ম্যাচের ঘটনা। আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্ক করতেও দেখা গেল ক্ষুব্ধ গুজরাত অধিনায়ককে। হায়দরাবাদের ইনিংসের সময়ও আম্পায়ারদের একটি সিদ্ধান্তে মেজাজ হারান তিনি।
প্রথম ঘটনাটি ঘটে গুজরাতের ইনিংসের ১৩তম ওভারের শেষ বলে রান আউট হন শুভমন। নন স্ট্রাইকার প্রান্ত থেকে দৌড়ান শুভমন। জস বাটলারের শট সোজা যায় হর্ষল পটেলের হাতে। তিনি বল ধরে দ্রুত ছুড়ে দেন উইকেটরক্ষক হেনরিখ ক্লাসেনকে। উইকেটের একদম কাছেই বল ছোড়েন হর্ষল। বল ধরে ক্লাসেনও দ্রুত উইকেট ভেঙে দেন। মাঠের আম্পায়ারেরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। তাঁরা পাঠিয়ে দেন তৃতীয় আম্পায়ার মাইকেল গফের কাছে।
রিপ্লেতে দেখা যায় ক্লাসেন উইকেট ভাঙার সময় শুভমনের ব্যাট ক্রিজ়ের খানিকটা বাইরে ছিল। তবে বার বার বিভিন্ন দিকের ক্যামেরার ছবি দেখেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বল সোজাসুজি উইকেটে লেগেছে নাকি বল উইকেটে লাগার আগেই ক্লাসেনের হাত লেগে উইকেট ভেঙে গিয়েছে। তৈরি হয় সংশয়। বেশ কয়েক বার রিপ্লে দেখেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। যদিও তৃতীয় আম্পায়ার গফ হায়দরাবাদের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেন। রান আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় শুভমনকে। তাঁর ১০টি চার এবং ২টি ছয়ের সাহায্যে ৩৮ বলে ৭৬ রানের ইনিংস শেষ হয়। পরে দেখা যায়, বল লাগার সামান্য আগে ক্লাসেনের গ্লাভসের ছোঁয়ায় উইকেট ভেঙেছে। বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শুভমন। আউটের সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁকে তর্ক করতে দেখা যায় আম্পায়ারদের সঙ্গে।
দ্বিতীয় ঘটনাটি হায়দরাবাদের ইনিংসের ১৪তম ওভারে। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর ওভারের চতুর্থ বলটি লেগ স্টাম্পের লাইনে পড়ে অভিষেক শর্মার পায়ে লাগে। এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করেন গুজরাতের ক্রিকেটারেরা। মাঠের আম্পায়ার আউট দেননি। রিভিউয়ের আবেদন করেন শুভমন। রিপ্লেতে দেখা যায় বল লেগ স্টাম্পেই ছিল। তবু তৃতীয় আম্পায়ার গফ ‘আম্পায়ার্স কল’ দিলে বেঁচে যান অভিষেক। এই সিদ্ধান্তেও অসন্তুষ্ট শুভমন মাঠের আম্পায়ারদের সঙ্গে কয়েক মিনিট তর্ক করেন। এই সময় পঞ্জাব দলের সতীর্থ অভিষেক দু’বার এগিয়ে এসে বন্ধু শুভমনকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু রঞ্জি দলের সতীর্থের কথায় কর্ণপাত করেননি শুভমন। আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্ক করতে থাকেন। কিছু ক্ষণ তর্কের পর অসন্তুষ্ট শুভমন সরে যান।
আইপিএলের এর আগেও একাধিক ম্যাচে গুজরাত অধিনায়ককে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে। আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্কেও জড়িয়েছেন। নেতৃত্বের চাপ কি তবে সামলাতে পারছেন না শুভমন?