(বাঁ দিকে) সুনীল গাওস্কর। রবি শাস্ত্রী (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
যাঁরা মাঠে না গিয়ে টিভিতে ক্রিকেট ম্যাচ দেখেন, তাঁদের কাছে খেলার উত্তেজনা ছাড়াও আরও একটি বিষয়ে নজর থাকে। তা হল ধারাভাষ্য। সুনীল গাওস্কর, সঞ্জয় মঞ্জরেকর, রবি শাস্ত্রী বা আকাশ চোপড়ারা কী বলছেন, তা শুনতে মুখিয়ে থাকেন অনেকেই। তবে ধারাভাষ্য দিয়ে ঠিক কত টাকা রোজগার হয়, সে সম্পর্কে অনেকেরই ধারনা নেই। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে খোলসা করেছেন আকাশ।
রাজ শামানির ইউটিউব শোয়ে একটি সাক্ষাৎকারে আকাশ জানিয়েছেন, ধারাভাষ্যকারের রোজগার নির্ভর করে তাঁর অভিজ্ঞতা, জনপ্রিয়তা, কথা বলার দক্ষতা এবং কত দিন ধারাভাষ্য দিচ্ছেন তাঁর উপরে। তবে ধারাভাষ্যের জগতে যাঁরা প্রতিষ্ঠিত নাম তাঁদের বার্ষিক রোজগার কয়েক কোটি হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আকাশ জানিয়েছেন, ধারাভাষ্যের কাজে যাঁরা নতুন, তাঁরা দৈনিক ৩০-৪০ হাজার টাকা রোজগার করে থাকেন। বছরে ১০০ দিনের মতো কাজ পেয়ে থাকেন। তবে সূচি এবং প্রতিযোগিতার কারণে তা বাড়তে বা কমতে পারে। যদি উপরের অঙ্কই ধরা হয়, তা হলে সেই ধারাভাষ্যকারের মাসিক রোজগার হতে পারে দু’থেকে আড়াই লক্ষ টাকা। সেটাই আকাশচুম্বী হয়ে যাবে যদি সংশ্লিষ্ট ধারাভাষ্যকার প্রতিষ্ঠিত হন।
ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেছেন, “সিনিয়র বা শীর্ষস্থানীয় ধারাভাষ্যকারেরা প্রতি দিন ৬-১০ লক্ষ টাকা করে পান।” বার্ষিক রোজগার কত হতে পারে, তা হিসাব করে বার করার চেষ্টা করেন রাজ। দেখা যায়, ৬-১০ লক্ষ টাকা দিনপ্রতি উপার্জন করলে এবং বছরে ১০০ দিন কাজ করলে, বার্ষিক রোজগার হতে পারে ১০-১২ কোটি! চোপড়া জানান, ঠিকই হিসাব করেছেন রাজ।
কী কী প্রতিযোগিতা কভার করছেন তার উপরেও উপার্জন নির্ভর করে। সাধারণত আইপিএল, দ্বিপাক্ষিক সিরিজ়, আইসিসি প্রতিযোগিতায় চাহিদা থাকে বেশি। তখন রোজগারও বেড়ে যায়। আকাশ জানিয়েছেন, সাম্প্রতিককালে ধারাভাষ্যের জগতটি ক্রমশ প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক এবং গুরুত্বপূর্ণ পেশা হয়ে উঠেছে। খেলার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না থাকলেও অনেকেই এই পেশায় আসছেন।
সংশ্লিষ্ট খেলার গল্প বলা, কথা দিয়ে দর্শকদের ধরে রাখা, খেলার খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ— ইত্যাদির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।