বৈভব সূর্যবংশী। ছবি: সমাজমাধ্যম।
শুক্রবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উঠতিদের এশিয়া কাপ সেমিফাইনালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হেরেছে ভারত এ। সুপার ওভারে হারতে হয়েছে তাদের। সেই ম্যাচে ভারতীয় দলের একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সুপার ওভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কেন বৈভব সূর্যবংশীকে নামানো হল না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ম্যাচের শেষে অবশ্য হাস্যকর যুক্তি দিয়েছেন অধিনায়ক। জানিয়েছেন, বৈভব নাকি পাওয়ার প্লে-র ক্রিকেটার বলে তাঁকে নামানো হয়নি।
জিতেশ বলেন, “ওরা (বৈভব এবং প্রিয়াংশ আর্য) পাওয়ার প্লে-তে খেলার ব্যাপারে দক্ষ। কিন্তু ডেথ ওভারে (শেষের দিকের ওভার) আমি, আশু (আশুতোষ শর্মা) এবং রমন (রমনদীপ সিংহ) চালিয়ে খেলতে পারি। তাই সুপার ওভারে তিন ব্যাটারকে নামানোর সিদ্ধান্ত দলের এবং আমার ছিল।”
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাওয়ার প্লে-র অর্থ প্রথম ছয় ওভার, যে সময়ে ৩০ গজের বাইরে মাত্র দু’জন ফিল্ডার রাখা যায়। অর্থাৎ বড় শট খেলা সহজ হয়। বৈভব শুরু থেকে চালিয়ে খেলে পাওয়ার প্লে কাজে লাগানোর চেষ্টা করে ঠিকই। তবে অন্য সময়েও বেশ দক্ষ। তার প্রমাণ রয়েছে চলতি প্রতিযোগিতাতেই।
আমিরশাহির বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে বৈভব ৪২ বলে ১৪৪ রান করেছিল। সেই ম্যাচে বৈভব আউট হয়েছিল ১২.৩ ওভারে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচে ৪৫ রান করেছিল। আউট হয়েছিল দশম ওভারে। ওমান ম্যাচে ১২ রান করেছিল। আউট হয়েছিল পঞ্চম ওভারে। শুক্রবারের ম্যাচে সে ৩৮ রান করেছে। আউট হয়েছে চতুর্থ ওভারে। অর্থাৎ চারটি ম্যাচের দু’টিতে সে পাওয়ার প্লে-র পরেও অনেকটা সময় খেলেছে। রান করেছে। আইপিএলেও তার শতরান রয়েছে। তার পরেও জিতেশ কী করে এমন কথা বললেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
যে ডেথ ওভার ব্যাটারদের উপর শুক্রবার জিতেশ নির্ভর করেছিলেন, তাঁরা একটিও রান করতে পারেননি। প্রথম বলেই স্কুপ মারতে গিয়ে বোল্ড হন জিতেশ নিজে। পরের বল আকাশে তুলে দিয়ে আউট হন আশুতোষ। সুপার ওভারের জন্য রাখা তিন ব্যাটারের কেউই এ দিন দলের হয়ে বিরাট অবদান রাখতে পারেননি। অন্য দিকে, দুই ওপেনার প্রিয়াংশ এবং বৈভব রান পেয়েছেন।
যদিও এই হার মাথায় রাখতে চাইছেন না জিতেশ। বলেছেন, “ভাল একটা ক্রিকেট ম্যাচ হল। অনেক শিক্ষা পেলাম। সব দোষ আমার। সিনিয়র হিসাবে আমারই ম্যাচটা শেষ করে আসা উচিত ছিল। হার নয়, শিক্ষা নিয়ে ফিরতে চাই আমরা। এই দলে যারা আছে, তারা হয়তো এক দিন বিশ্বকাপও জিততে পারে।”