শুভমন গিল। —ফাইল চিত্র।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের এক দিনের সিরিজ় খেলার সম্ভাবনা নেই শুভমন গিলের। সম্ভবত পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ়েও তাঁকে পাওয়া যাবে না। তাঁর ঘাড়ে এখনও ব্যথা রয়েছে। ইঞ্জেকশন দিতে হয়েছে শুভমনকে।
২০২৫ সালে সম্ভবত আর ক্রিকেট মাঠে দেখা যাবে না শুভমনকে। ঘাড়ের সমস্যার জন্য বেশ কিছু দিন বিশ্রামে থাকতে হবে তাঁকে। কিছু পরীক্ষা করানো হয়েছে শুভমনের। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, পেশি সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হয়েছে তাঁর। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সূত্রকে উদ্ধৃত করে সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, শুভমনের সমস্যা স্নায়ুর। ব্যথা কমানোর ইঞ্জেকশন দিতে হয়েছে ২৬ বছরের ব্যাটারকে। আরও কিছু দিন চিকিৎসা চলতে পারে তাঁর। তার পর শুরু হবে রিহ্যাব। সম্ভবত আগামী জানুয়ারিতে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে আবার খেলতে পারবেন শুভমন।
বিসিসিআইয়ের এক কর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘‘শুভমনকে ইঞ্জেকশন দিতে হচ্ছে। বেশ কিছু পরীক্ষা করানো হয়েছে। চিকিৎসা শেষ হওয়ার পর কিছু দিন বিশ্রাম নিতে হবে শুভমনকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়েও ওর খেলার সম্ভাবনা কম।’’
কলকাতা টেস্টের সময় ঘাড়ে সমস্যা শুরু হয় শুভমনের। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন সকালে তাঁর ঘাড় শক্ত হয়ে যায়। সে দিন ব্যাট করতে নামলেও ৩ বল খেলেই উঠে যেতে হয় শুভমনকে। ইডেন গার্ডেন্স থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার এক হাসপাতালে। পরের দিনই অবশ্য শুভমনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে দলের সঙ্গে গুয়াহাটিতেও যান শুভমন। কিন্তু তাঁর খেলার সম্ভাবনা না থাকায় ম্যাচ শুরুর আগের দিনই তাঁকে ছেড়ে দেন কোচ গৌতম গম্ভীর। গুয়াহাটি থেকে সরাসরি তিনি মুম্বই চলে যান চিকিৎসার জন্য।