Hardik Pandya

Hardik Pandya: চার উইকেট নিয়েও হার্দিক বলছেন, ‘বল হাতে তেমন দক্ষতা নেই’! তবু কেন সফল, বললেন সেটাও

তাঁর বোলিং করা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছিল। সব উত্তরের জবাব দিতে পেরে খুশি হার্দিক। জানালেন, ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২২ ১৪:৪৮
Share:

হার্দিক পাণ্ড্য ছবি রয়টার্স

তাঁর বোলিং নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে গত দেড় বছরে। কাঁধের চোটের পর থেকেই বোলিং করতে পারছিলেন না ঠিক করে। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেই নিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হন। নির্বাচকরা দল থেকে বাদও দেন। একটি আইপিএল সব বদলে দিয়েছে। হার্দিক পাণ্ড্য এখন শুধু দুর্দান্ত বলই করছেন না, এমন ব্যাটিং করছেন যে শুধুমাত্র ব্যাটার হিসাবে তাঁকে দলে নেওয়া হলেও কেউ আপত্তি করবেন না।

Advertisement

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের সিরিজে দুর্দান্ত ছন্দে দেখা গিয়েছে হার্দিককে। রবিবার বল হাতে চার উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে ৭১ রান করে দলকে জেতাতে সাহায্য করেছেন। ম্যাচের সেরার পুরস্কার অনায়াসে তিনি পেতে পারতেন। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে অত্যন্ত খুশি হার্দিক। জানিয়েছেন, ইংল্যান্ড সিরিজে নিয়মিত বোলিং করার পর অবশেষে ছন্দ ফিরেছে।

হার্দিক বলেছেন, “দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে এক ওভার বল করেছিলাম। দুটো ম্যাচে বল করিনি। নিয়মিত বোলিং করে যাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই ছন্দটাই খুঁজে পাচ্ছিলাম না। আয়ারল্যান্ডেও সেটা পাইনি। জানি আমার খুব বেশি দক্ষতা নেই। তাই বলের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখি। বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে বল করার চেষ্টা করি। ব্যাটারকে বোকা বানাতে চাই। সেটা অবশেষে হয়েছে।”

Advertisement

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে চার উইকেট নিয়ে আত্মবিশ্বাস অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন হার্দিক। বলেছেন, “ধারাবাহিকতা নিয়ে প্রচুর খেটেছি। পুরনো ভিডিয়ো দেখে নিজেকে সংশোধন করেছি। তবে প্রথম টি-টোয়েন্টির পর যে অনুভূতি হয়েছিল, সেটা অসামান্য। এমনিতে ম্যাচের আগে অনুশীলন করি না। সে দিন দু’ওভার বল করেছিলাম। তাতেই ছন্দ পেয়ে যাই। তার পর চার উইকেট আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়ে দেয়। যে কোনও পিচে বল করতে পারি এই বিশ্বাস এসে গিয়েছে।”

রবিবার চোটে যশপ্রীত বুমরা খেলেননি। তাঁর জুতোয় পা গলাতে পেরে খুশি হার্দিক। বলেছেন, “যশপ্রীত খেলবে না জানতাম। ওর মতো ক্রিকেটারের অভাব অনুভূত হবেই। ম্যাচের আগে আমাকে বলল, ‘তোমাকে হয়তো আজ ডেথ ওভারে দু’ওভার করতে হবে।’ নিজেকে বললাম, ‘যশপ্রীতের জুতোয় পা গলাতে হবে আজ।’ আমাকে এগিয়ে আসতেই হত। শুধু শেষের দিকে নয়, মাঝের ওভারেও ভাল বল করতে হত। সেটা করতে পেরে খুশি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন