Virat Kohli

শতরান করে ম্যাচের সেরা কোহলির মুখে ‘সাফল্যের সহজ উপায়’

গুয়াহাটিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম এক দিনের ম্যাচে শতরান করে ম্যাচের সেরা হয়েছেন বিরাট কোহলি। ম্যাচের সেরা হয়ে সাফল্যের সহজ উপায় বাতলে দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৩ ২৩:০৩
Share:

শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দুরন্ত শতরান করেছেন বিরাট কোহলি। ম্য়াচের সেরা হয়ে কী বলছেন কোহলি? ছবি: বিসিসিআই

শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে গুয়াহাটিতে শতরান করে ইনিংসের বিরতিতে বিরাট কোহলি জানিয়েছিলেন, সিরিজ়ের আগে বিশ্রামের ফায়দা পেয়েছেন তিনি। এ বার ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে তিনি সাফল্যের সহজ উপায় বাতলে দিলেন। কী ভাবে, কোন মানসিকতা নিয়ে খেলতে নামলে সাফল্য আসবে তা জানালেন কোহলি।

Advertisement

ম্যাচ শেষে কোহলি বলেন, ‘‘আমি একটা কথা বুঝেছি। তাড়াহুড়ো করে কোনও দিন কিছু হয় না। তাতে সব কিছু আরও বেশি জটিল হয়ে পড়ে। শুধু খেলার দিকে মন দিতে হবে। মজা করতে হবে। মাঠে নেমে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে হবে। সেটাই করার চেষ্টা করছি।’’

দীর্ঘ দিন ব্যর্থতার পরে আবার ছন্দে ফিরেছেন কোহলি। পর পর দু’টি এক দিনের ম্যাচে শতরান করেছেন। এখন প্রতিটি ম্যাচ নিয়ে অন্য ভাবে চিন্তাভাবনা করেন বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। কোহলি বলেছেন, ‘‘নিজের সেরাটা দিয়ে খেলতে হবে। আমি এখন সব ম্যাচকে নিজের শেষ ম্যাচ ভেবে খেলি। কারণ, আমি তো সারা জীবন খেলব না। কিন্তু ক্রিকেট থেকে যাবে। তাই শুধু উপভোগ করতে হবে। সেটাই এখন করছি।’’

Advertisement

শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১১৩ রানের ইনিংসের জন্য ইশ্বরকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন কোহলি। তিনি বলেছেন, “আমি কিছু দিনের ছুটি নিয়েছিলাম। এই ম্যাচ খেলার আগে দু’টি মাত্র অনুশীলন সেশনে নেমেছিলাম। তাই বাংলাদেশ সফরের পর আমি বেশ তরতাজা ছিলাম। ঘরের মাঠে খেলার জন্য মুখিয়ে ছিলাম। ওপেনাররা রান করে আমাকে নিজের মতো খেলার সুযোগটা করে দিয়েছিল। ভাল লাগছে শেষ পর্যন্ত আমরা রানের গতিটা ধরে রাখতে পেরেছিলাম বলে। ভাগ্যিস ক্যাচ দুটো পড়েছিল। আমি চাইব এ রকম ক্যাচ আরও পড়ুক। এ রকম ইনিংস খেলতে হলে ভাগ্যের সাহায্য একটু প্রয়োজন। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ।”

বিরাট জানিয়েছেন যে, তিনি নিজের খাওয়াদাওয়ার উপর সব সময় বাড়তি নজর দেন। বিরাট বলেন, “বয়স বাড়ছে, তাই কী খাচ্ছি সে দিকে নজর রাখি। সেটাই আমাকে ফিট থাকতে সাহায্য করে। দলের হয়ে ১০০ শতাংশ দিতে সাহায্য করে।” বিরাট মনে করেন ৩৭০ রানের উপর লক্ষ্য থাকায় বোলাররা সুবিধা পাবেন। তিনি বলেন, “এই রান তাড়া করতে হলে ওদের দলের কাউকে ১৫০ রানের ইনিংস খেলতে হবে। এই রান আমাদের বোলারদের সুযোগ করে দেবে। শিশির পড়বে, বল করা কঠিন হবে। তাই বড় রান খুব প্রয়োজন ছিল।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন